বিশ্বকাপ শুরুর আগে তেমন কেউই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফেভারিটের তালিকায় রাখেনি। তবে টুর্নামেন্ট শুরু হতেই দাপুটে পারফরম্যান্সে। নিজের অস্তিত্বের জানান দিয়েছে প্রোটিয়ারা। এরই ধারাবাহিকতায় নিউজিল্যান্ডকে ১৯০ রানে হারিয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে টেম্বা বাভুমার দল।
দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাট করা মানেই স্কোরবোর্ডে বিশাল সংগ্রহ। ব্যতিক্রম হয়নি এদিনও; নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার শেষে ৩৫৭ রান করেছিল দলটি। যদিও শুরুটা অন্য দিনের তুলনায় ধীরগতিতে হয়েছে, প্রথম পাঁচ ওভারে মাত্র ১৫ রান করতে পেরেছিলেন দুই ওপেনার; যদিও সময় গড়াতেই রান তোলার গতি বাড়ে।
অধিনায়ক বাভুমা ২৪ রানে ফিরে গেলেও ইনফর্ম ডি কক আর ভ্যান ডার ডুসেনের ব্যাটে ভর করে ছুটতে থাকে প্রোটিয়ারা। দুজনের ২০০ রানের ম্যারাথন জুটিতে আরো একবার প্রতিপ্রক্ষকে পাহাড়সম টার্গেট দেয়ার ভিত গড়ে ওঠে। ১১৪ রানের মাথায় ডি কককে আউট করে এই জুটি ভাঙেন সাউদি, ততক্ষণে অবশ্য দলীয় রান পৌঁছে গিয়েছে ২৩৮-এ।
এরপরই শুরু হয় মিলার-ডুসেন ঝড়। দুজনের মিলিত অবদানে মাত্র ৪৩ বলে ৭৮ রান যোগ হয় বোর্ডে। শেষপর্যন্ত ১১৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ডুসেন, আর মিলার আউট হওয়ার আগে করেন ৩০ বলে ৫৩।
আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ৩৮৯ রানের লক্ষ্যে দারুণ লড়াই করেছিল নিউজিল্যান্ড। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তেমন কিছু দেখার আশায় ছিল দর্শকেরা। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দেন মার্কো জানসেন। কিউইদের দুই ভরসা ডেভন কনওয়ে আর রাচিন রবীন্দ্রর উইকেট তুলে নেন তিনি। ওপেনার উইল ইয়ংও পারেননি বলার মত কিছু করতে।
৫৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় ব্ল্যাকক্যাপসরা। অধিনায়ক টম লাথাম ব্যক্তিগত চার রানের মাথায় ফিরলে জয়ের আশা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়। তবু চেষ্টা করেছেন ড্যারেল মিশেল; কিন্তু সেটাও ব্যর্থ হয়েছে কেশভ মহারাজের ঘূর্ণিতে। এই স্পিনার স্যান্টনারের উইকেটও নিজের করে নিয়েছেন খানিক সময় পরেই।
লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে নিয়ে শেষদিকে লড়াই চালিয়ে যান গ্লেন ফিলিপস, তিনি ৬০ রানে আউট হলে ১৬৭ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। এই পরাজয়ে শুধু দুই পয়েন্ট-ই খুইয়ে বসেনি দলটি, নেট রান রেটেও বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। ফলে পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সঙ্গে কিউইদের সেমিফাইনালের দৌড় এখন আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।