নীরবতা ভাঙলেন শচীন

তাঁর ক্রিকেটিং ক্যারিয়ারে ভারতকে বিপদ থেকে রক্ষার দায়িত্ব কম সময় পালন করেননি। তিনি ক্রিকেটের ঈশ্বরখ্যাত মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার পর নীরবই ছিলেন তিনি।

তাঁর ক্রিকেটিং ক্যারিয়ারে ভারতকে বিপদ থেকে রক্ষার দায়িত্ব কম সময় পালন করেননি। তিনি ক্রিকেটের ঈশ্বরখ্যাত মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার পর নীরবই ছিলেন তিনি। তবে, অবশেষে সেটার অবসান হল। আবারও তিনি ভারতের ক্রিকেটারদের পাশে এসে দাঁড়ালেন। সমালোচকদের সমালোচনার জবাব দিয়ে ক্রিকেটারদের পাশে থাকার কথাও জানালেন ক্রিকেট ঈশ্বর।

সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লজ্জ্বাজনক হারের মাধ্যমে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়ার পর সমস্ত ভারত জুড়েই ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে। স্যোশাল মিডিয়া থেকে গণমাধ্যম – সবাই সরব ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমালোচনায়।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল হারের মাধ্যমে গত নয় বছর ধরেই ভারত আইসিসির বৈশ্বিক আসরের ট্রফি শূন্য রইল। গত বছরের টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর বিরাট কোহলির থেকে নিয়ে  দলের অধিনায়কত্ব দেয়া হয় রোহিত শর্মাকে। রোহিত শর্মা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তাঁর দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে রেকর্ড সংখ্যক শিরোপা এনে দেওয়ায় এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের মধ্যে আশা ছিল গগনচুম্বী। কিন্তু রোহিতের দল আবারও আরেকটা বৈশ্বিক আসর থেকে ফিরেছে খালি হাতে। শুধু তাই ই নয়, সেমিফাইনালে ইংলিশদের বিপক্ষে জুটেছে ১০ উইকেটের রীতিমতো অপমানজনক বিদায়।

এতে করেই দলের কোচ, অধিনায়ক, খেলোয়াড়সহ সবার ওপর দিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আর ঠিক এই জিনিসটিই যেন পছন্দ হয়নি ক্রিকেটের ঈশ্বরখ্যাত শচীন টেন্ডুলকারের। চলতি সমালোচনার বিপক্ষে মুখ খুলে ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শচীন।

সংবাদমাধ্যম এএনআই কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রিকেট ঈশ্বর বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা সত্য যে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারটা সত্যিই হতাশাজনক ছিল। অ্যাডিলেডের মত মাঠে ১৬৮ রান লড়াই করার জন্য কখনোই যথেষ্ট নয়!’

শচীন আরও বলেন, ‘আমরা জানি যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারটা অনেক বেশিই হতাশাজনক ছিল। কিন্তু এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে যে আমরা খুব ভাল ব্যাটিং করে একটা ভাল স্কোর দাঁড় করাতে পারি নি। এডিলেডের মত মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬৮ কখনোই যথেষ্ট নয়। কেননা অ্যাডিলেড অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য মাঠের মত না। অ্যাডিলেডের দুই পাশের বাউন্ডারির সীমানা অনেক ছোট যেখানে অন্যান্য মাঠে সেগুলা তুলনামূলক বড়। তাছাড়াও আমাদের মানতে হবে যে আমরা ভাল বোলিং করেও উইকেট তুলে নিতে পারিনি। সর্বোপরি, ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক খারাপ এবং হতাশাজনক ছিল।’

এর পরই টেন্ডুলকার দলের বিরুদ্ধে চলা চলতি সমালোচনার কড়া ভাষায় জবাব দেন। টেন্ডুলকার বলেন, ‘টি-টোয়েন্টির প্রথম স্থান অর্জন করাটা কোনো রাতারাতি ব্যাপার না। এটা এত সহজ না। এটা অর্জন করার জন্য দলকে লম্বা সময় ধরে ভাল করতে হবে। একটা টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স নিয়ে আমাদের দলকে যাচাই করা ঠিক হবে না। আর খেলাধুলায় উত্থান পতন থাকবেই। এর সমাধান সবাই মিলে করতে হবে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...