মেন ইন ব্লু-রা বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে একটি দুর্দান্ত বার্তা জানান দিয়েছে। এ যেন হায়েনার ডেরায় গিয়ে তাঁকেই বধ করা। যাইহোক এই মহারণের চূড়ান্ত পর্বের খেলা মাঠে গড়াবে ২৩ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটির মধ্য দিয়ে। ভারতের বোলিং লাইনআপ বুমরাহর অনুপস্থিতিতে যতটা শঙ্কায় পড়েছিল বলে ভাবা হচ্ছিল, প্রস্তুতি ম্যাচে মোহাম্মদ শামি ঝড়ে সেই আশঙ্কা উড়ে গিয়েছে। এই মুহুর্তে মোহাম্মদ শামিকে নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটাররা কিছুটা নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হবেন।
ভারতীয় ক্রিকেট গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ আসরটিতে ভারতের যাত্রা নিয়ে দারুণ আশাবাদী। তিনি তো অকপটে জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারতের এবার বিশ্বকাপ জেতার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।
শচীন টেন্ডুলকার বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিং সম্ভবত টুর্নামেন্টে সবচেয়ে শক্তিশালী; বোলিংটাও ভারসাম্যপূর্ণ। সামগ্রিকভাবে, আপনি যদি দল এবং এর সম্ভাবনাগুলি মূল্যায়ন করেন তবে আমি বলব, আমাদের এবার খুব বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।’ অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহারণে নিজেদেরই ফেভারিট মানছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
ভারতীয় বোলাররা ডেথ ওভারে ব্যর্থ, দেদারছে রান বিলিয়ে আসছে এমন সমালোচনা প্রসঙ্গে শচীন বললেন ভিন্ন কথা।
তাঁর মতে, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যাটসম্যানরা রান পাবেনই। এমন তো হতে পারে না যে ১৮ তম, ১৯ তম এবং ২০ তম ওভারে কোন রান হবে না। সুতরাং বোলাররা শেষ পর্যন্ত রান দেবে। আপনার যদি একটি নির্দিষ্ট ব্যাটারের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা থাকে, তবে সেই পরিকল্পনায় অটুট থাকুন। বিভ্রান্ত মনে বল করলে সবসময় রান খরচ হবে। তাই আত্মবিশ্বাসী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
এবারের বিশ ওভারের বিশ্বকাপে ‘ডার্ক হর্স’ কারা, সেমিফাইনালিস্ট কারা তা নিয়ে যেন জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই।
অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেট গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার এর মতে, ‘এবারের সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট হবে ভারত ও পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান যদি ব্যাটিংয়ে ভালো করতে না পারে সেক্ষত্রে দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে যাবে। কারণ তাঁরা এবারের আসরে ‘ডার্ক হর্স’। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন তাঁদের নিজেদের দেশের কন্ডিশনের মতোই। কিন্তু আবার অন্য ভাবনায় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ফেভারিট অবস্থানে এবং নিউজিল্যান্ড হতে পারে ডার্ক হর্স। কারণ আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপে নিউজিল্যান্ডের ভালো করার প্রবণতা রয়েছে।’
সবকিছু ছাপিয়ে এই কিংবদন্তি ভারতকে সবচেয়ে যোগ্য মনে করছেন এবারের আসরে। শচীনের এমন ভরসাবাণী নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর মধুর স্মৃতি নিয়ে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠের লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছে দলটি। বাঘা বাঘা আক্রমণাত্মক ব্যাটার, দুর্দান্ত বোলার এবং শক্তিশালী ফিল্ডার নিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপার কতো কাছাকাছি যেতে পারে দলটি সেইদিকে বিশেষ নজর থাকবে ক্রিকেট প্রেমীদের। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট দলটির নজর যে শিরোপার দিকেই নিবদ্ধ থাকবে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। দলটি ২০০৭ এর সুখস্মৃতির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাইবে এবারও।