ইনজুরি যেন এই অলরাউন্ডারের পিছুই ছাড়ছে না। সেই ২০১০ সাল থেকে পিঠের এক ইনজুরি বহন করে চলেছেন। সেই ইনজুরিকে জীবনের অংশ করে নিয়েই চলছিলেন। এর মধ্যে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নতুন করে চোটে পড়েছেন এই অলরাউন্ডার।
এখনও পুনর্বাসন চলছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। কবে ফিরতে পারবেন, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সাইফউদ্দিন আশা করছেন, আসছে জানুয়ারির শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দিয়েই খেলায় ফিরতে পারবেন তিনি। অন্তত নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছেন।
২০১০ সাল থেকে পিঠের ইনজুরি বয়ে বেড়াচ্ছেন সাইফউদ্দিন। এর ভেতরে ভেতরে পড়েছেন বিভিন্ন সময় নতুন নতুন ইনজুরিতে। চোটের কারণেই খেলতে পারেননি গত মৌসুমের বিপিএলও খেলতে পারেননি। এর আগে চোটের কারণে গত বছর নভেম্বরে যেতে পারেননি ভারত সফরে। ২০১৯ এর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর পিঠের সমস্যায় ভুগছেন সাইফউদ্দিন। পিঠের চোটের কারণে বিশ্বকাপের পর পাঁচ মাস মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি।
তবে সব পেছনে ফেলে মাঝে কয়েকটা মাস ভালোই ছিলেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শারজাহতে আবারও ইনজুরিতে পড়েন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে চোট পান কোমরে। পরে স্ক্যান করে দেখা যায়, কোমরের হাড়ে ফাটল ধরেছে। সেই ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার জন্য এখন চিকিৎসক দলের পরামর্শ অনুযায়ী পুনর্বাসন চলছে তার।
সাইফউদ্দিন বলছিলেন, এই প্রক্রিয়াটা আশানুরূপ ভালোই চলছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ভালো আছি এখন। চিকিৎসকরা যেভাবে বলছেন, সেভাবে পুনর্বাসন চলছে। এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো আছে। আশা করি, দ্রুত মাঠে ফিরতে পারবো।’
এই অলরাউন্ডার আশা করছেন যে, ডিসেম্বরের শেষ দিকে আরেকবার পরীক্ষা নীরিক্ষা হলে তিনি জানুয়ারিতে ব্যাট-বল হাতে নিতে পারবেন। সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন। বলছিলেন, ‘ডিসেম্বরের শেষ দিকে আবার অ্যাসেসমেন্ট হবে। তারপর আশা করছি জানুয়ারিতে বোলিং ও ব্যাটিং শুরু করতে পারবো। এখন বাকিটা আল্লাহর হাতে। দেখা যাক, কী হয়।’
সাইফউদ্দিন ঠিক বুঝতে পারছেন না যে, আর্ন্তজাতিক খেলায় ফিরতে আবার কতোটা সময় লাগবে। তবে তিনি আশা করছেন, বিপিএল দিয়ে খেলায় ফেরার মাধ্যমে নিজেকে পরের বিশ্বকাপের জন্য তৈরী করে ফেলতে। আশা নিয়েই বলছিলেন, ‘আমি তো আশা করছি, বিপিএল দিয়ে খেলায় ফিরবো। সেটা না হলে দেরী হয়ে যাবে। বিপিএলে ফিরতে পারলে হয়তো ভালো চান্স থাকবে। এখন দেখা যাক, কী হয়।’