অধিনায়কত্বের ‘কাছাকাছি’ ফিরছেন সরফরাজ?

পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটে সরফরাজের অধিনায়কত্ব হারানোটা মোটেও ভালো কোনো স্মৃতি ছিল না কারো জন্যই। অধিনায়কত্ব হারানোর সাথে সাথে দল থেকেও বাদ পড়েছিলেন এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে আবারো জাতীয় দলে ফিরেছিলেন তিনি। এখন নিয়মিতি খেলছেন টেস্ট দলে।

পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেটে সরফরাজের অধিনায়কত্ব হারানোটা মোটেও ভালো কোনো স্মৃতি ছিল না কারো জন্যই।

অধিনায়কত্ব হারানোর সাথে সাথে দল থেকেও বাদ পড়েছিলেন এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে আবারো জাতীয় দলে ফিরেছিলেন তিনি। এখন নিয়মিতি খেলছেন টেস্ট দলে।

গতকাল ঘোষিত শ্রীলঙ্কা সিরিজের টেস্ট দলেও জায়গা হয়েছে সরফরাজের। বরাবরের মত টেস্টে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন বাবর আজম। আর তাঁর ডেপুটি মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রশিদ লতিফ মনে করেন, পারফরম্যান্স আর অভিজ্ঞতা বিবেচনায় রিজওয়ানের চেয়ে সহ-অধিনায়ক হবার জন্য বেশি যোগ্য সাবেক অধিনায়ক সরফরাজই।

টেস্টে রিজওয়ানের অফ ফর্মের কারণেই দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সরফরাজ। সুযোগ পাবার পর দারুণ পারফর্ম করে থিতু হয়েছেন দলে। তাই এখন রিজওয়ানকে সহ-অধিনায়ক হিসেবে বহাল রাখার কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না লতিফ।

গত নিউজিল্যান্ড সিরিজে সরফরাজের দারুণ পারফরম্যান্সের কারণে সরফরাজকেই সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া উচিত ছিল বলেই মত তাঁর।

রশিদ লতিফ বলেন, ‘সরফরাজ এমন একজন খেলোয়াড় যাকে এই সফরে সহ-অধিনায়ক করা যেত। রিজওয়ানের অফ ফর্মের কারণেই সে দলে ফিরেছিল। নিজের পারফরম্যান্সের কারণেই সে একাদশে থাকবে। তাই রিজওয়ানকে সহ-অধিনায়ক হিসেবে বহাল রাখার কোনো যুক্তি নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার মতে বাবরের সব ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব করা উচিত। যাই হোক, কাউকেই কোনো বাড়তি সুযোগ দেয়া উচিত নয়। যদি কেউ নেতৃত্বের যায়গাটায় সুযোগ প্রাপ্য হয়ে থাকে সেটা একমাত্র সরফরাজ ছাড়া আর কেউ নয়।’

রশিদ লতিফের এমনটা বলার কারণও আছে। দলে ফেরার পর থেকেই ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে সরফরাজ। গত নিউজিল্যান্ড সিরিজে রিজওয়ানের জায়গায় একাদশে খেলেন সরফরাজ। ৮৩.৭৫ গড়ে সেই সিরিজে ৩৩৫ রান করেন এই উইকেট রক্ষক ব্যাটার। সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তো বটেই সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন সরফরাজ।

অন্যদিকে, লাল বলের ক্রিকেটে মোটেও হাসছে না রিজওয়ানের ব্যাট। তাঁর সর্বশেষ খেলা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে ছয় ইনিংসে ২৩.৫০ গড়ে ১৪১ রান করেন।

পুরো সিরিজে কোনো ফিফটিও আসেনি রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। তাই মূল একাদশেই যেখানে রিজওয়ানের জায়গা নিয়ে আছে সন্দেহ, সেখানে তাকে সহ-অধিনায়ক করার কোনো মানেই খুঁজে পাচ্ছেন না রশিদ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...