ইংল্যান্ডের ২৬৭ রানের জবাবে পাকিস্তানের রান যখন ১৭৭, ততক্ষণে সাতজন ব্যাটার ফিরে গিয়েছেন প্যাভিলিয়নে। তবু গ্যালারিতে গুটিকয়েক সমর্থক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর সেটাই দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করলো সৌদ শাকিলকে। নয় নম্বর ব্যাটারের সাথে অতিমানবীয় এক জুটি গড়লেন তিনি, ম্যাচে ফেরালেন পাকিস্তানকে।
এই ব্যাটারের শুরুটাও ছিল অগ্নিপরীক্ষার মতন, তিনি যখন বাইশ গজে এসেছিলেন তখন দলীয় রান ৪৬ রানে তিন উইকেট। এরপর তিনি একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন ঠিকই, কিন্তু অন্য প্রান্তে সতীর্থ ব্যাটাররা কেবল আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত ছিলেন।
তবু রানের চাকা সচল ছিল এই বাঁ-হাতির কারণে; ধীর গতিতে একটা সময় ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। যদিও কাজের কাজটা করেছেন অষ্টম উইকেট জুটিতে, নোমান আলীর সঙ্গে মিলে বোর্ডে যোগ করেছেন ৮৮ রান। ৪৫ রান করে নোমান আউট হলে ভাঙ্গে সেই জুটি, ততক্ষণে তাঁর নামের পাশে জ্বল জ্বল করছিল তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার।
তাতেও সন্তুষ্ট হননি শাকিল, সাজিদ খানকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন আরেক লড়াই। সেই লড়াই ছিল বড় লিড নেয়ার লড়াই, ইংল্যান্ডকে কোণঠাসা করে ফেলার লড়াই। সাজিদের দৃঢ় সমর্থনে সেই লড়াইটা দারুণভাবে জিতেছেন তিনি; শেষপর্যন্ত ১৩৪ রানে থামতে হয় তাঁকে। ততক্ষণে অবশ্য ৭০ রানের লিড পেয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিলেন পাক তারকা, তারপর আর থামেননি একটা মুহূর্তের জন্যও। ১৫ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে দেড় হাজারের কাছাকাছি রান করে ফেলেছেন তিনি; চারটা সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাফ-সেঞ্চুরি আছে সাত সাতটি। আবার ডাবল হান্ড্রেডের দেখাও পেয়েছেন ইতোমধ্যে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রথম টেস্টে ৮২ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছিলেন শাকিল; কিন্তু দলের বাকিদের ব্যর্থতায় সেটা আর আলাদা করে চোখে পড়েনি। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সেটা বোধহয় চাইবেন না তিনি, এখন দেখার বিষয় চালকের আসনে থাকা পাকিস্তান তাঁর চাওয়া পূরণ করতে পারে কি না।