আশুতোষ শর্মা ব্যাটিং করতেই জানেন না

সম্প্রতি রেলওয়ে দলের কোচ নিখিল দরু সেই গল্প তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচকরা রঞ্জি ট্রফির জন্য রেলওয়ের দলে তাঁকে রাখতে একেবারে অনিচ্ছুক ছিল। তারা বলতো, আশুতোষ ব্যাটিংই করতে জানে না, সে কেবল বড় শট মারতে পারে। কিন্তু আমি তাঁকে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকি, কারণ ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেয়ার যে ক্ষমতা তাঁর মধ্যে দেখেছি সেটা অসাধারণ।’

সম্ভবত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন আশুতোষ শর্মা। এক উইকেট আর তিন বল হাতে রেখে দিল্লি ক্যাপিটালসকে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি, যখন সবাই হার মেনে নিয়েছিল তখন তিনি একা লড়াই করেছেন। অথচ এমন একজনকে কি না সুযোগই দিতে চাননি নির্বাচকরা।

অবাক করার মত হলেও সত্যি, প্রতিভাবান এ ব্যাটারকে রঞ্জি ট্রফির দলে রাখতে চায়নি টিম ম্যানেজম্যান্ট। এমনকি তিনি ব্যাটিং করতে জানেন না এই কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু অভিষেক ম্যাচে তাঁদের মুখে রীতিমতো ঝামা ঘষে দিয়েছিলেন আশুতোষ।

সম্প্রতি রেলওয়ে দলের কোচ নিখিল দরু সেই গল্প তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচকরা রঞ্জি ট্রফির জন্য রেলওয়ের দলে তাঁকে রাখতে একেবারে অনিচ্ছুক ছিল। তারা বলতো, আশুতোষ ব্যাটিংই করতে জানে না, সে কেবল বড় শট মারতে পারে। কিন্তু আমি তাঁকে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকি, কারণ ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেয়ার যে ক্ষমতা তাঁর মধ্যে দেখেছি সেটা অসাধারণ।’

আশুতোষের অভিষেক ম্যাচের বীরত্ব গাঁথাও সামনে নিয়ে এসেছেন এই ক্রিকেটগুরু। তিনি বলেন, ‘প্রথম তিন-চার ম্যাচে আশুতোষকে একাদশে রাখা হয়নি, গুজরাটের বিপক্ষে অবশেষে সুযোগ পায় সে। এবং সে জানতো এটা হয়তো শেষ সুযোগ। কিন্তু ম্যাচের দিন একাদশের কাগজপত্র নিয়ে একটু ঝামেলা হওয়ায় তাঁকে ব্যাটিংয়ে নামাতে নামাতে আট উইকেট পড়ে গিয়েছিল।’

নিখিল দরু আরো বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এখন আর আশুতোষ কি করবে, কিন্তু সে আসলে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। ৮৪ বলে ১২৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহ ৩১৩ রানে পৌঁছে দেয়। এই পারফরম্যান্স আমাদের আত্মবিশ্বাস কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল, পরবর্তীতে ১৮৪ রানে ম্যাচ জিতে যাই।’

সমাপ্তি রেখায় এসে তিনি যোগ করেন, ‘আশুতোষ কল্পনায় বিশ্বাসী। সে সাফল্যের মুহূর্ত কল্পনা করতে পছন্দ করে এবং সেটা তাঁকে আরো ভাল করতে অনুপ্রেরণা দেয়। আশুতোষ আমাকে বলেছিল এই মৌসুমে দিল্লির হয়ে আইপিএল জয়ের স্বপ্ন দেখছে।’

Share via
Copy link