২০২৩ সালের এশিয়া কাপ কিংবা ওয়ানডে বিশ্বকাপ কোনটিতেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি শাদাব খান। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পেতে তাই নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করতে হতো তাঁকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সেটিই করছেন তিনি, প্রথম দুই ম্যাচে পারফরম করার সুযোগ না পেলেও তৃতীয় ম্যাচে ঠিকই জ্বলে উঠেছেন।
তবে বল হাতে নয়, এই ডানহাতি ব্যাটিংয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এদিন। ছয় নম্বরে নেমে মাত্র ২০ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। এ ইনিংস খেলার পথে চারটি চারের পাশাপাশি দুইটি ছয় এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। মিডল অর্ডারে অধিকাংশ ব্যাটার ব্যর্থ হলেও পাকিস্তান নির্ধারিত বিশ ওভারে ১৭৮ রান করতে পেরেছে সেটার কৃতিত্ব তাঁকেই দিতে হবে।
তেরোতম ওভারে উসমান খান আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন পাক তারকা, দলের রান তখন মাত্র শতক পেরিয়েছিল। তাই তো প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন তিনি, তরুণ ইরফান খানকে সঙ্গে গিয়ে এগুতে থাকেন সাবলীলভাবে।
উনিশতম ওভারে তাঁর উইকেট তুলে জুটি ভাঙ্গেন জ্যাকব ড্যাফি, ততক্ষণে দু’জনের খেলেছিলেন ৩৪ বল আর স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ৬২ রান। এই জুটিতে অবশ্য শাদাবের ভূমিকা ছিল মুখ্য, তাই তো তিনি ফিরে গেলে রান তোলার গতি আবারো কমে যায় স্বাগতিকদের।
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) দিয়েই মূলত নিজের ব্যাটিং সত্তা সবার সামনে নিয়ে এসেছিলেন এই লেগ স্পিনার। পিএসএলের সবশেষ আসরেও আলো ছড়িয়েছে তাঁর ব্যাট, ৩০ গড় আর ১৪২ স্ট্রাইক রেটে ৩০৫ রান করেছিলেন। ব্যাটিংয়ের এমন ফর্ম এবার পাকিস্তানের সবুজ জার্সিতেও টেনে নিয়ে এসেছেন তিনি।
পাকিস্তানের টপ অর্ডারে অনেক মানসম্পন্ন ব্যাটার থাকলেও মিডল অর্ডার নিয়ে সমস্যা রয়েছে আগ থেকেই। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন তরুণ আর অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েও সেই সমস্যা সমাধান করতে পারেননি। যদিও শাদাব খানের কল্যাণে খানিকটা আশার আলো দেখতে শুরু করেছে দলটির সমর্থকেরা; দেখবেই না বা কেন, বিশেষজ্ঞ বোলার থেকে তিনি তো এখন পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার বনে গিয়েছেন৷