ডু অর ডাই ম্যাচ। জিতলে টিকে থাকবে সুপার ফোরে ওঠার সুযোগ। অন্যথায় এশিয়া কাপের মঞ্চে টানা দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্বের গণ্ডিতে আটকে যাবে বাংলাদেশ— এমন একটা সরল সমীকরণেই খেলতে নেমেছিল টাইগাররা।
সরল সমীকরণ হলেও জটিল ম্যাচে এক প্রকার ব্যঘ্র গর্জনই দেখিয়েছে বাংলাদেশ। আফগান বোলারদের উপর শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভিত্তি পেয়ে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩৫ রানে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পরবর্তীতে আফগানিস্তানরা গুটিয়ে যায় ২৪৫ রানেই। ফলত, ৮৯ রানের বড় জয় নিয়ে সুপার ফোরে এক পা দিয়ে রাখল বাংলাদেশ।
এ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন মেক শিফট ওপেনার মিরাজ আর চারে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস আর বল হাতে ১ টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার অনুমিতভাবেই গেছে মিরাজের হাতে।
এশিয়া কাপের মঞ্চে মাস্ট উইন ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়ে অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্টকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘আসলেই বেশ ভাল লাগছে। টিম ম্যানেজমেন্ট আমার উপর ভরসা রেখেছিল। তার জন্য অবশ্যই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আর ব্যাটিংয়ের সময় বল ঠিকঠাক ব্যাটেই আসছিল। আমি শুধু সময় কাটিয়েছি। শান্তর সাথে দারুণ একটা পার্টনারশিপ হয়েছে। ওর ইনিংসটা দুর্দান্ত। টানা দুটো ম্যাচেই দারুণ খেলল ও।’
মিরাজ অবশ্য ১১২ রান থাকা অবস্থায় আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেননি। টানা ৪২ ওভার ব্যাটিংয়ের পর হঠাতই ক্র্যাম্পিং হয় মিরাজের। ম্যাচশেষে লাহোরের গরমকে দায়ী করে এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘খুবই গরম ছিল। আর সে কারণেই শেষ দিকে আর স্বাভাবিক ভাবে ব্যাট করতে পারি নি। অস্বস্তি বোধ হওয়ার কারণেই চলে এসেছিলাম।’
বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব অবশ্য এ ম্যাচ জেতার পিছনে টস জেতার গুরুত্বকে সামনে এনেছে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা সব দিক দিয়ে ভাল খেলেছিল। টসটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে এত গরমে খেলা সহজ ছিল না। মিরাজ আর শান্ত দারুণ ব্যাটিং করেছে। আমরা জানতাম, মিরাজের সক্ষমতা আছে। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওর রেকর্ড ভাল। পেসাররাও পরে দারুণ বল করেছে। এই জয় সত্যিই আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে। আমরা আগের ম্যাচেও সর্বোচ্চটা দিতে চেয়েছি। তবে হয়নি। কিন্তু এভাবে ফিরে আশাটাও দারুণ ব্যাপার।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৯ রানের এ জয়ে অবশ্য বাংলাদেশের এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সুপার ফোর নিশ্চিত হয়নি। তবে অতি নাটকীয়তা না হলে বাংলাদেশ আপাতত সুপার ফোরের পথে এক পা দিয়েই রেখেছে।