টি-টোয়েন্টির ‘চূড়ায়’ সাকিব

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম চার ম্যাচে তিন উইকেট শিকার করাতে শেষ ম্যাচে সাকিবের প্রয়োজন ছিল দুই উইকেটের। অ্যাশটন টার্নারকে আউট করে কাঙ্খিত সেই লক্ষ্যে পৌছে যান সাকিব। দেশের হয়ে এখন টি-টোয়েন্টিতে ৮৪ ম্যাচে ৬.৮২ ইকোনোমিতে ২০.৮১ গড়ে ১০০ উইকেট রয়েছে সাকিবের ঝুলিতে। আর ৮৪ ম্যাচে ১৭১৮ রান এসেছে এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে।

বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একশো উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন সাকিব আল হাসান। শুধু তাই নয়, সাকিবই এখন বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার যার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রানের সাথে একশো উইকেট রয়েছে। এই অলরাউন্ডার ছাড়া টি-টোয়েন্টিতে একশো উইকেট রয়েছে শুধুমাত্র লাসিথ মালিঙ্গার।

টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে অনেক আগেই এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন সাকিব আল হাসান। একশো উইকেটের ক্লাবে নাম লেখাতে সাকিবের অপেক্ষার প্রহর শুরু হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে। একশো উইকেট পেতে সাকিবের প্রয়োজন ছিল সাত উইকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচে তিন উইকেট শিকার করে সাকিব সেই অপেক্ষা টেনে এনেছিলেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজ পর্যন্ত।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম চার ম্যাচে তিন উইকেট শিকার করাতে শেষ ম্যাচে সাকিবের প্রয়োজন ছিল দুই উইকেটের। অ্যাশটন টার্নারকে আউট করে কাঙ্খিত সেই লক্ষ্যে পৌছে যান সাকিব। দেশের হয়ে এখন টি-টোয়েন্টিতে ৮৪ ম্যাচে ৬.৮২ ইকোনোমিতে ২০.৮১ গড়ে ১০০ উইকেট রয়েছে সাকিবের ঝুলিতে। আর ৮৪ ম্যাচে ১৭১৮ রান এসেছে এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে।

সাকিব ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চাশ উইকেট রয়েছে শুধুমাত্র মুস্তাফিজুর রহমানের। মাত্র ছয় বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪৭ টি-টোয়েন্টি খেলে এই পেসার শিকার করেছেন ৬৮ উইকেট। এছাড়া স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের রয়েছে ৩৪ টি-টোয়েন্টিতে ৪৪ উইকেট ও পেসার আল আমিন হোসেনের রয়েছে ৩১ ম্যাচে ৪৩ উইকেট। এর পরের অবস্থানে থাকা মাশরাফি বিন মর্তুজার শিকার ৫৪ ম্যাচে ৪২ উইকেট। এছাড়া আর ৪০ উইকেট নেই কারো।

৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন লঙ্কান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিবের শিকার ১০২ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র নয় রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি।

তৃতীয় স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদির শিকার ৮৩ ম্যাচে ৯৯ উইকেট। আর ৯৯ ম্যাচে ৯৮ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি এবং ৯৫ উইকেট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান।

সাকিবের সামনে সুযোগ রয়েছে উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষে ওঠারও। চলতি মাসের শেষের দিকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে নিউজিল্যান্ড। শীর্ষে উঠতে এই সিরিজের পাঁচ ম্যাচে এই অলরাউন্ডারের প্রয়োজন ছয় উইকেট প্রয়োজন সাকিব আল হাসানের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...