বিশ্বকাপের অধিনায়কত্বে রাজি নন সাকিব

এই অবস্থায় সাকিবের সাথে কোনো রকম মধ্যস্ততায় আসা যায় কি না - সেই চেষ্টাও করতে পারে বিসিবি। আবার গত কয়দিনের আলাপ-আলোচনা ফের সাকিব-তামিমকে মুখোমুখি অবস্থানেও দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

তামিম ইকবাল ইস্যুতে একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার কথাও ভাবছে ওয়ানডেতে। বোর্ডের প্রথম পছন্দ এখানে অবশ্যই সাকিব আল হাসান। তবে, তিনি ওয়ানডের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নয় বলেই জানিয়েছেন।

সংকটের শুরু এখানেই। সাকিবকে বাদ দিলে বিকল্প হতে পারেন ওয়ানডের সহ-অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তবে, লিটন নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা খুবই কম। তাই, বিশ্বকাপের মত আসরে তাঁকে আদৌ দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, বা তিনি নিজে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত কি না – সে নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

যদিও অধিনায়ক হিসেবে বেশ সফল লিটন। দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছেন। আফগানিস্তানকে টেস্টে রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়েছেন। কিন্তু, বিশ্বকাপ তো আরও বড় মঞ্চ।

আবার এটাও ঠিক যে, প্রটোকল অনুযায়ী, তামিমের জায়গায় লিটন দাসেরই তো অধিনায়কত্ব পাওয়ার কথা। সব মিলিয়ে অধিনায়কত্ব ইস্যুতে একটা ধাঁধার মধ্যেই আটকে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।

সাকিবকে পাওয়া যাবে না বলেই, তামিমকেই রেখে দেওয়ার পক্ষে বিসিবি। সেটা তিনি ফিট হয়ে এশিয়া কাপ খেলতে না পারলেও। তামিমের জন্য এশিয়া কাপের পর নিউজিল্যান্ড সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি আছে।

এই অবস্থায় সাকিবের সাথে কোনো রকম মধ্যস্ততায় আসা যায় কি না – সেই চেষ্টাও করতে পারে বিসিবি। আবার গত কয়দিনের আলাপ-আলোচনা ফের সাকিব-তামিমকে মুখোমুখি অবস্থানেও দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

কিছুদিন আগেও তামিম প্রটোকল ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন এক সাক্ষাৎকারে। তাঁকে সরিয়ে সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করতে চায় বোর্ডের একটা অংশ। তামিম নিজেও মনে করেন, বোর্ডের কোনো কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা, তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন সাকিবকে।

এমনকি, কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে ও কিছু খেলোয়াড়ও সাকিবকেই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দেন। এসব নিয়েই বোর্ড প্রধান ও ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধানের সাথে খোলামেলা আলোচনা করার কথা তামিমের।

এমনিতে পরিসংখ্যান বলছে, ওয়ানডেতে সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসেরই সেরা অধিনায়কদের একজন। ৫০ টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাতে দল জিতেছে ২৩ টি ম্যাচে। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছেন কেবল দুজন – মাশরাফি বিন মুর্জতা (৫০) ও হাবিবুল বাশার সুমন (২৯)।

২০১১ সালের বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করেন। ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে সহ-অধিনায়ক ছিলেন। ফলে, সাকিব ছাড়া ‘বেটার’ কোনো বিকল্প এই মুহূর্তে হাতে নেই। কিন্তু, তিনি নিজেই তো রাজি নন অধিনায়কত্বে!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...