পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের অন্তত তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজটায় থাকছেন না সাকিব আল হাসান। কারণ, হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। এই ইনজুরির জন্য তিনি বিশ্বকাপের বাংলাদেশের শেষ দু’টি ম্যাচেও খেলতে পারেননি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজে না থাকলেও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের আগে সাকিব ফিট হয়ে উঠবেন বলে আশা করা যায়।
তিনি বলেন, ‘সাকিবের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করে মাঠে ফিরতে অন্তত তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। ও হয়তো পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা খেলতে পারবো।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষেই বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান দল। তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর। তিনটি ম্যাচই হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এরপর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ২৬ নভেম্বর প্রথম টেস্ট শুরু হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে চার ডিসেম্বর, মিরপুরে।
জানিয়ে রাখা ভাল, সর্বশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে বোলিং, ফিল্ডিং কিংবা ব্যাটিং – সব সময়ই কিছু সময়ের জন্য খোড়াতে দেখা গেছে সাকিব আল হাসানকে।
শারজাহ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফিল্ডিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান সাকিব। কিন্তু, সেই ব্যাথা নিয়েই ফিল্ডিংয়ের পর বোলিংও করেন। এরপর ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্বোধনও করেন।
আর এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল সাকিব টানা ক্রিকেটের মধ্যে আছেন অনেকদিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়াও এই সময়ে তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ কিংবা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মত আসর খেলেছেন। ক’দিন আগে নিজেই বলেছিলেন, তিনি একটু ক্লান্ত।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়। সুপার টুয়েলভে পাঁচটি ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে। ছয় ম্যাচ খেলে সাকিব নিয়েছেন ১১ টি উইকেট। এই আসরেই তিনি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির আসনে বসেছেন। এমনকি এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসেও সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক তিনি। অন্যদিকে, ব্যাট হাতে ছয় ম্যাচে করেছেন ১৩১ রান।