টেস্ট খেলতে দেশে ফিরছেন সাকিব

মোটামুটি নিশ্চিত ছিলো যে, পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও সাকিব আল হাসানকে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এখন দারুন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে যে, সাকিব দুটো টেস্টই খেলবেন। অন্তত সেই লক্ষ্য নিয়েই আগামীকাল ঢাকায় ফিরছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন চোটে পড়েন সাকিব। ফলে অভিযান শেষ না করেই আরব আমিরাত থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক। ইনজুরি থেকে সেরে না ওঠায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলা হয়নি। সন্দেহ ছিল যে, তিনি টেস্টও খেলতে পারবেন না।

তবে ইনজুরির ভালো উন্নতি হওয়ায় দেশে ফিরে আসছেন তিনি। আর সাকিবের ইচ্ছে চট্টগ্রাম টেস্টেই খেলা। তবে এখানে একটু কিন্তু আছে। এক নির্বাচক বলেছেন, ‘সাকিব খেলতে চায়। আমরা ওকে এখনই এভেইলেবল বা আনেভেইলেবল বলতে পারছি না। কারণ, ও দেশে ফেরার পর ওর একটু অ্যাসেসমেন্ট করবেন চিকিৎসকরা। ও ফাইন থাকলে তো চট্টগ্রাম টেস্টই খেলবে। নইলে ঢাকা টেস্ট যে খেলবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।’

সাকিব ফিট থাকলে মঙ্গলবারই দলের সাথে চট্টগ্রাম চলে যাবেন। ফলে বিশ্রাম খুব একটা নেওয়া হবে না। আপাতত এটা বাংলাদেশের জন্য দারুন স্বস্তির একটা খবর। টানা হারের মধ্যে থাকা বাংলাদেশ দলের সাকিবকে মিস করাটা আর সম্ভব হয়ে উঠছিলো না। টেস্টে ভালো করতে হলে সাকিবকে খুবই দরকার।

অবশ্য সাকিব এরই মধ্যে নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি চেয়ে বিসিবিতে দরখাস্ত দিয়েছেন। তবে সে সফরের আগে দুটো টেস্টে অন্তত পাওয়া যাবে তাকে। আগামীকাল বিকেলেই বাংলাদেশের টেস্ট দল ঘোষণা হওয়ার কথা। সাকিব ফিট থাকলে তাকে সহই ঘোষণা করা হবে দল। ২৬ নভেম্বর প্রথম টেস্ট শুরু হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে চার ডিসেম্বর, মিরপুরে।

জানিয়ে রাখা ভাল, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়। সুপার টুয়েলভের টিকেট বাংলাদেশ কোনোক্রমে পেলেও সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। সুপার টুয়েলভের সবগুলো ম্যাচই হারে মাহমুউল্লাহ রিয়াদের দল। আর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের শেষ দু’টি ম্যাচ খেলা হয়নি আগের ছয়টি ম্যাচে ১১ উইকেট পাওয়া সাকিবের।

সেই বিশ্বকাপের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে বোলিং, ফিল্ডিং কিংবা ব্যাটিং – সব সময়ই কিছু সময়ের জন্য খোড়াতে দেখা গেছে সাকিব আল হাসানকে। শারজাহ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান সাকিব। কিন্তু, সেই ব্যাথা নিয়েই ফিল্ডিংয়ের পর বোলিংও করেন। এরপর ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটে ব্যাট হাতে ইনিংসের উদ্বোধনও করেন।

আর এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল সাকিব টানা ক্রিকেটের মধ্যে আছেন অনেকদিন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়াও এই সময়ে তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ কিংবা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মত আসর খেলেছেন। ক’দিন আগে নিজেই বলেছিলেন, তিনি একটু ক্লান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link