বিশ্বকাপ শেষ বাংলাদেশের। দল আছে দেশে ফেরার অপেক্ষায়। তবে, পুরো দল ফিরলেও সাকিব আল হাসান নেই সেই তালিকায়। অধিনায়ক, অস্ট্রেলিয়া থেকে সরাসরি চলে যাবেন আমেরিকায়, নিজের পরিবারের কাছে। এই সময়ে নিশ্চয়ই অবসরের ভাবনাও তাঁর মনে আছে। কারণ বয়স হয়ে গেছে ৩৫!
বিশ্বকাপটা কার্যত সাকিবের ভাল যায়নি। ব্যাটিং কিংবা বোলিং – দুই বিভাগেই ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। এমনকি অধিনায়ক হিসেবেও তিনি শতভাগ সফল ছিলেন না। বাংলাদেশ দু’টি ম্যাচে জিতলেও পয়েন্ট তালিকায় ছিল গ্রুপের পঞ্চম স্থানে।
অবস্থাটা এমন যে সাকিবকে অবসরের প্রসঙ্গেও শুনতে হল সংবাদ মাধ্যমের কাছে। অ্যাডিলেড ওভালে রোববার পাকিস্তানের কাছে পাঁচ উইকেটে হারের পর পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সামনে কতদিন বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যাবে তাঁঁকে?
জবাবে সাকিব বলেন, ‘আমি আসলে এই বিষয়ে জানি না। আমি বাংলাদেশের হয়ে যত বছর সম্ভব খেলার চেষ্টা করব। (এর জন্য) আমাকে ফিট থাকতে হবে এবং পারফর্ম করতে হবে।’
নিজের পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের দিক থেকে এটি আমার জন্য আদর্শ টুর্নামেন্ট ছিল না। আমি মনে করি, আরও ভাল বোলিং-ব্যাটিং করতে পারতাম। তো যতদিন ফিট আছি এবং দলের জন্য অবদান রাখছি, আমি খেলতে পছন্দ করব।’
২০২৪ সালে বিশ্বকাপের নবম আসরের যৌথ আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হবে ২০ দলের এই টুর্নামেন্ট। সেই বিশ্বকাপে র্যাংকিংয়ের সুবাদে সরাসরি অংশ নেবে বাংলাদেশ। এবার সাকিব সেখানে থাকবেন কি না – এখন সেটাই হল প্রশ্ন।