ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে মাঠে গড়ানোর আর ২৪ ঘন্টাও বাকি নেই। এরমধ্যেই ১৫ তম সদস্য হিসেবে দলে যুক্ত করা হয়েছে শামিম হোসেন পাটোয়ারিকে।
একদিন আগেই বেশ কিছুদিন পর টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। আর সেই টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণার একদিন না পেরোতেই এবার পেলেন ওয়ানডে দলে সুযোগ। বাংলাদেশের হয়ে ১০ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও এখনও পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি এ বাঁহাতি ব্যাটারের। তবে কি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ওয়ানডে ক্রিকেটে পা রাখবেন শামীম?
আফিফ হোসেনের অফফর্ম আর সাতে ব্যাট করার মতো ফিনিশার, সব সমীকরণ মিলে যাচ্ছিল এতেই। কারণ শামিম পাটোয়ারি সাধারণত ফিনিশার রোলেই ব্যাট করে থাকেন। ভারত সিরিজ থেকেই আফিফের ফর্ম একদম যাচ্ছেতাই। ব্যাট হাতে একবারও দুই অঙ্কের রানের দেখা পাননি। তাই হঠাৎ দলে অন্তর্ভূক্তিতে শামিমের পৌষ মাসে আফিফের সর্বনাশাই দেখতে বসেছিল সবাই।
কিন্তু প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর ভাষ্যমতে, এই সিরিজে শামীমের খেলার কোনো সুযোগই নেই। তাহলে কেন তাঁকে স্কোয়াডে যুক্ত করা হলো? ব্যাপারটা কিছু বিস্ময়কর, একই সাথে হাস্যকরই বটে। দলে নাকি এখন এক ক্রিকেটারের ইনজুরি প্রবণতা আছে। তাই অতিরিক্ত ফিল্ডার হিসেবে শামিমকে স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে।
কিন্তু এখানেও তো পাল্টা প্রশ্ন চলে আসে। স্কোয়াড ১৪ জনের হলে অতিরিক আরো তিনজন তো থাকছেই। তাহলে ঘটা করে আরো একজনের সংযুক্তি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরেও প্রধান নির্বাচকের আবার পাল্টা প্রশ্ন। ম্যাচের দিন সকালে যদি আরেকজনের ইনজুরি হয়?
অর্থাৎ প্রধান নির্বাচকের কথাতেই স্পষ্ট, দলের ভবিতব্য যেকোনো ঝুঁকি এড়াতে শামিমকে স্কোয়াডে ডাকা হয়েছে। আরেকটু খোলাসা করে বললে, কোনো ম্যাচ খেলার জন্য নয়, অতিরিক্ত ফিল্ডার হিসেবে শামীম আপাতত চলতি সিরিজে ওয়ানডে দলের সঙ্গী।
শুধুমাত্র ফিল্ডার হিসেবে ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো ক্রিকেটারকে স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান সাপেক্ষ। রিজার্ভ ক্রিকেটারের নাম শোনা যায়। অনেক দল অনুশীলনের জন্য অতিরিক্ত ক্রিকেটারকে সফরসঙ্গী হিসেবে রাখে।
কিন্তু, মূল স্কোয়াডে এমন নির্দিষ্ট করে ফিল্ডার হিসেবে কোনো ক্রিকেটারকে দলভূক্ত করার ঘটনা বিরল বললেই চলে। অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সারাবছর এমন বিরল ঘটনার মধ্যে দিয়েই প্রবাহিত হয়। অন্যত্র যেটা অস্বাভাবিক, সেটাই যেন আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে স্বাভাবিক বলয়ের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে।
অবশ্য প্রধান নির্বাচকের কথাকে শেষ ধরে নিলেও বিপত্তি আছে। কে জানে, বাকি দুই ম্যাচের যেকোনো এক ম্যাচেই মূল একাদশে দেখা যেতে পারেন শামীমকে। এমন কিছু হলে, প্রধান নির্বাচকের তখনকার যুক্তি নিশ্চিতভাবেই বিনোদনের আরেক কাঠি সরেসের যোগান হবে।