শেষ থেকেই যেন শুরু করলেন মোহাম্মদ শামি। পেসের ঝড়ে উইকেটের প্রলয় নিয়েই ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হল তাঁর। লক্ষ্য কি এবার তবে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি?
গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। তবে, ফাইনালে গোড়ালির চোটে পরেন তিনি। এরপর এক বছর মাঠের বাইরে ছিলেন। তবে বাংলা টিমের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে নেমেই কিস্তিমাত শামির।
প্রথম দিন মাত্র ২২৮ রানে বাংলা টিম গুটিয়ে যায়। বোলিংয়ে এসে ১০ ওভার বোল করেও উইকেট শূন্য থাকেন এই পেসার। তবে দ্বিতীয় দিনেই আগুন ঝড়ালেন তিনি। ১৯ ওভার বল করে ৫৯ রান খরচায় তুলে নেন চারটি উইকেট।
বাংলা দল বল করেছে ৫৯ ওভার, শামিই সবচেয়ে বেশি ওভার করেছেন। বুঝাই যাচ্ছে শামি প্রস্তুত দিনভর বোলিং বা লম্বা স্পেলে বোলিংয়ের জন্য। তিনি যে ফিট তা নিয়ে আর শঙ্কা নেই বললেই চলে।
গতি, সুইং, ইনসুইং, লাইনলেন্থ সব যেন শিল্পীর হাতের তুলির ছোয়া। তিনটা বোল্ড, একটা কট বিহাইন্ড। স্পষ্ট ধারণা করা যায় যে শামির বল প্রতিপক্ষ বুঝতেই পারে নি। একাই ধসিয়ে দেন মধ্যে প্রদেশ কে, দলকে এনে দিয়েছেন জরুরী লিডও।
তাকে ছাড়া বেশ অনভিজ্ঞ দলই গঠন করতে হয়েছে ভারতকে বোর্ডার -গাভাস্কার সিরিজের জন্য। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেই বিশ্বকাপের স্বপ্ন ভেঙেছিল পুরো আসর অতিমানবীয় পারফর্ম করা শামির।
ইনজুরি থেকে ফিরে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিতেই কি তার শোধ নিতে চাচ্ছেন তিনি? এখন দেখা যাক, শেষ অবধি ২২ তারিখের আগেই অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট ধরেন কিনা এই ৩৪ বছর বয়সী অভিজ্ঞ গতিমানব।
এর আগে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেট নিয়ে পেয়েছিলেন ‘শামিফাইনাল’ তমকা। এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড শেষ মুহূর্তে তাঁকে দলে ভেড়ালে তা হবে অস্ট্রেলিয়ার জন্য ‘শামিপ্রাইজ’।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বরাবরই ‘ফর্ম’ ভাল শামির। ১২ টেস্টে ৪৪ উইকেট আছে তার, নামের পাশে ৫ উইকেট শিকারের গৌরব আছে দু’বার। এখন শামির ফেরার খবরে অস্ট্রেলিয়া ভয় পেতে বাধ্য!