রিভিউ নিবো কি নিবো না!

এক ভুলে অধিনায়ক যেমন হারিয়েছিলেন মিরাজের কথা শোনার ইচ্ছা, পরেরবার সেই অভিজ্ঞতা থেকে বের করে আনলেন সঠিক সিদ্ধান্ত। যাক, যে করেই হোক একটা রিভিউ মিস হওয়ার দু:খ ভুলতে পারলেন শান্ত।

যথারীতি আরেকটা রিভিউ নাজমুল হোসেন শান্ত মিস করেছিলেন, সেই মেহেদী হাসান মিরাজের কথা শুনে। এক ওভারের ব্যবধানে আর মিরাজের কথা শুনলেন না। এমনকি তাঁর দিকে তাকালেনই না, বাকিদের কথা শুনে রিভিউ নিলেন, এবং তাতে লাভ হল বাংলাদেশের।

জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ৪০ তম ওভারে। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের বিপক্ষে তাইজুল ইসলাম বলটা ছুঁড়ে দিলেন অফ স্টাম্পের বাইর দিয়ে, বল সামান্য টার্ন করে গেল। গলা ফাঁটানো আপিল। আম্পায়ার নির্বিকার। মিরাজ ছুটে এলেন শান্তর কাছে। অধিনায়কের মন পাওয়ার চিরায়ত চেষ্টা।

শান্ত ফাঁদে পা দিলেন। ডিআরএস নিলেন। আল্ট্রা এজ বলছে, কিছুই ছিল না। ব্যাট প্যাডেই লেগেছে। একটা রিভিউ মিস হল। সেই ভুল সিদ্ধান্তের দায়টা গিয়ে ঠেকলো মিরাজের কাঁধে।

তারপর, ৪২ তম ওভারে আবার সেই দৃশ্যপট। বোলার আবারও সেই তাইজুল, ব্যাটিংয়ে যথারীতি আরভিন। লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে হালকা ঘূর্ণি, বল ছুঁয়ে গেল ব্যাটের ভেতরের প্রান্ত, জাকের আলী আবার গর্জে উঠলেন। আবারও আম্পায়ারের মন গললো না।

মিরাজ আবার গেলেন অধিনায়ককে কনভিন্স করতে। শান্ত মিরাজের কথায় আর ভরসা পাচ্ছেন না। কিন্তু, জাকের-মুুমিনুলদের কথায় রাজি হলেন। আল্ট্রা এজে দেখালো স্পাইক। আউট! ক্রেইগ আরভিন ফিরলেন।

এক ভুলে অধিনায়ক যেমন হারিয়েছিলেন মিরাজের কথা শোনার ইচ্ছা, পরেরবার সেই অভিজ্ঞতা থেকে বের করে আনলেন সঠিক সিদ্ধান্ত। যাক, যে করেই হোক একটা রিভিউ মিস হওয়ার দু:খ ভুলতে পারলেন শান্ত।

Share via
Copy link