গিল, কোহলি নাকি গ্রিন? টি-টোয়েন্টির বিবেচনায় এগিয়ে কোন সেঞ্চুরি!

গ্রিন, কোহলি, গিল— কার সেঞ্চুরিটি সব কিছুর বিবেচনায় এগিয়ে থাকবে? গ্রিন, গিল দুজনই তাদের সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়েছেন। কিন্তু বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি স্বত্ত্বেও ম্যাচ হেরে এবারের আইপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। তারপরও কি কোহলির ঐ ইনিংসের মাহাত্ম্য কমে যায়? 

একই দিনে তিন সেঞ্চুরি! এবারের আইপিএলে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ দিনটা ঠিক এমন ‘সেঞ্চুরিময়’ ছিল। শুরুটা হয়েছিল বিকালের ম্যাচে ক্যামেরুন গ্রিনের সেঞ্চুরি দিয়ে। শেষটা হয় রাতের ম্যাচে শুভমান গিলের সেঞ্চুরি দিয়ে। আর গিলের এই সেঞ্চুরিতেই ম্লান হয় বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি। কাকতালীয় ব্যাপার হচ্ছে, এই তিন সেঞ্চুরিয়ানই অপরাজিত থেকে সেদিন ইনিংস শেষ করেছিলেন।

গ্রিন, কোহলি, গিল— কার সেঞ্চুরিটি সব কিছুর বিবেচনায় এগিয়ে থাকবে? গ্রিন, গিল দুজনই তাদের সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়েছেন। কিন্তু বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি স্বত্ত্বেও ম্যাচ হেরে এবারের আইপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। তারপরও কি কোহলির ঐ ইনিংসের মাহাত্ম্য কমে যায়?

এই তিন সেঞ্চুরিয়ানের মধ্যে সেঞ্চুরি পূরণ করতে সবচেয়ে বল খেলেছেন, কোহলি। ৬০ বল। তাঁর চেয়ে ৮ বল কম খেলে ঐ একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন শুভমান গিল। আর সবচেয়ে কম ৪৭ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারে পৌঁছান ক্যামেরুন গ্রিন।

সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পথে বাউন্ডারি তুলে নেওয়ার দিক দিয়েও আবার কোহলিই সবচেয়ে কম রান করেছেন। ৬১ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলার পথে এ ব্যাটার ১৩ চার আর ১ ছয়ে করেছেন ৫৮ রান। আর শুভমান গিল ৫ চার ও ৮ ছক্কায় বাউন্ডারি থেকে তুলেছেন ৬৮ রান। ক্যামেরুন গ্রিন আবার ৮০ শতাংশ রানই নিয়েছেন বাউন্ডারি থেকে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে তিনি ১০০ রানের ইনিংস সাজান ৮ চার আর ৮ ছক্কায়।

গ্রিন এবং গিল— এ দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতেই তাদের দল জিতেছে। জয় পরাজয়ের বিবেচনায় বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি শুরুতেই বাদ পড়ে যাবে। দিনশেষে, দলের জয় মূখ্য। কোহলির সেঞ্চুরির পরও সেই জয়টাই যে ব্যাঙ্গালুরুর আসেনি। সেঞ্চুরির দিনেও তাই ম্যাচ হারের হতাশায় বিষণ্ণ চেহারা বারবার লুকাতে চেয়েছেন কোহলি।

তবে বাকি দুজনের সেঞ্চুরি পূরণের ক্ষেত্রে ম্যাচ পরিস্থিতি প্রায় এক হলেও কোহলির ক্ষেত্রে তেমনটি ছিল না। প্রথমত, গ্রিন, গিল, দুজনই দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। আর কোহলি পেয়েছেন প্রথম ইনিংসে। এখানে আরেকটা বিষয় টেনে আনা যেতে পারে।

হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে গ্রিন সঙ্গী হিসেবে রোহিত, সুরিয়াকুমার যাদবদের পেয়েছিলেন। আবার শুভমান গিলও পরের ম্যাচে নির্ভার ব্যাটিং করেছেন অপরপ্রান্তে যোগ্য সঙ্গ পাওয়ায়। গিল যখন সেঞ্চুরির পথে তখনও ব্যাটে নামেননি হার্দিক পান্ডিয়া, ডেভিড মিলার, রাহুলে তেওয়াতিয়ারা।

অথচ বিরাট নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার দিনে যোগ্য কোনো সঙ্গীই পাননি। চলতি আইপিএল ডু প্লেসি, ম্যাক্সওয়েল আর কোহলিই ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে সিংহভাগ রান করেছেন। সেখানে গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচে কোহলি ছাড়া অন্য দুই ব্যাটারই দ্রুত ফিরে যান। তাই বাকিটা পথ দলকে বলতে গেলে একাই টেনেছেন কোহলি।

অবশ্য ক্যামেরুন গ্রিন আর শুভমান গিল দুটি ম্যাচেই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ২০০ এর বেশি লক্ষ্য তাড়া করার চাপ নিয়ে। দিনশেষে সেই চাপটা তাঁরা ঠিকই জয় করতে সক্ষম হন। তাই ম্যাচ উইনিং নক হিসেবে কোনো বিশ্লেষণ ছাড়াই তাদের ইনিংস সবার আগে থাকবে। এমনকি ছাপিয়ে যেতে পারে কোহলির ইনিংসকেও। তবে দিনশেষে তিনটা ইনিংসই ক্রিকেটীয় মানদণ্ডে দুর্দান্ত। ম্যাচ পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটা ইনিংসই যেন অতুলনীয়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...