বিশ্বকাপের সহোদর

একই পরিবারের একাধিক সদস্যের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার বিস্তর নজীর আছে। দুই ভাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন – এমন অনেকেই আছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ একই ম্যাচেও দলের হয়ে লড়াই করেছেন। তবে, আজ এদের মধ্যে খুবই এলিট একটা শ্রেণির কথা বলবো।

দুই ভাই একই সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন একই দলের হয়ে – এই তালিকাটা খুবই ছোট। এই ছোট্ট তালিকাতে ঠাঁই হওয়া ভাইদের নিয়েই আমাদের এবারকার আয়োজন।

  • ইরফান ও ইউসুফ পাঠান (ভারত): ২০০৭ ও ২০০৯

ইরফান পাঠান এবং ইউসুফ পাঠান দুই ভাই একসাথে ভারতের ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। শুধু সদস্য নয়, বিশ্বকাপ জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তাঁরা। দুই ভাই এক সাথে পরে ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলেন।

ছোট ভাই ইরফান পাঠান না পারলেও বড় ভাই ইউসুফ পাঠান ২০১১ সালের ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে ভূমিকা রেখেছেন। ইরফান পাঠান ২০১১ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে ছিলেন না। ইউসুফ পাঠান সেই গুটি কয়েক খেলোয়াড়ের একজন যিনি ভারতের হয়ে দু’টি ভিন্ন ফরম্যাটের বিশ্বকাপ জিতেছেন।

  • ন্যাথান ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (নিউজিল্যান্ড): ২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪

জুটিবন্ধনে এই দুই ভাই রীতিমত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন। তাঁরা দু’জন মিলে ব্ল্যাক ক্যাপদের হয়ে খেলেছেন মোট পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর।

এই দুই ভাইয়ের সাফল্য এবং খ্যাতি দুইটাই ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে পাওয়া। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের পরিচিতি একজন মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অপরদিকে ন্যাথান ম্যাককালাম ছিলেন একজন স্পিনিং অলরাউন্ডার।

  • ডোয়াইন ও ড্যারেন ব্রাভো (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): ২০১২

২০১২  সালে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই বিশ্বকাপে ছিলেন দুই ভাই ডোয়াইন ও ড্যারেন ব্রাভো। তাঁরা মূলত সৎ ভাই। ড্যারেনের টি-টোয়েন্টির সামর্থ্য কখনোই খুব বেশি প্রশংসিত হয়নি, তিনি সেই বিশ্বকাপে খেলেন মাত্র একটি ম্যাচ।

ড্যারেন কার্যত কখনোই কোনো ফরম্যাটে নিজের প্রতিভা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি। তবে, ডোয়াইন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টির ইতিহাস সেরাদের একজন। তিনি আজো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে উইন্ডিজ দলের নিয়মিত সদস্য।

  • অ্যালবি ও মরনে মরকেল (দক্ষিণ আফ্রিকা): ২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪

একদম গোড়া থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবগুলোতেই ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান দুই ভাই – অ্যালবি ও মরনে মরকেল।

মরনে মরকেল দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সব গুলো ফরম্যাটই খেলতেন, তবে অ্যালমি মূলত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্রিকেটার বলে বিবেচিত হতেন। ওই সময়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন ছিলেন অ্যালবি। অন্যদিকে, মরনে এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে ২৪ টি উইকেট নেন।

  • মাইকেল ও ডেভিড হাসি (অস্ট্রেলিয়া): ২০০৯, ২০১০ ও ২০১২ 

অস্ট্রেলিয়ার দুই ভাই – মাইকেল হাসি ও ডেভিড হাসি এক সাথে খেলেছেন তিনটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। মিস্টার ক্রিকেট খ্যাত মাইকেল হাসি তিন ফরম্যাটের সবগুলো খেললেও ডেভিড মূলত ছিলেন টি-টোয়েন্টির ক্রিকেটার।

মাইকেলের চেয়ে ডেভিড টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটি ম্যাচ বেশিই খেলেছেন।  বিশেষ করে ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ডেভিড ছয় উইকেট নেওয়ার সাথে সাথে দু’টি হাফ সেঞ্চুরিও করেন।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link