ছয় বলে ছয় ছক্কা যেন ভারতীয়দের জন্য ডালভাত

নাভিও যুব ট্রফি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে টানা ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন অভিজিৎ প্রবীন।

ক্রিকেটের এই যুগে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মারা মোটামুটি সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। কয়েকদিন আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের ওপেনার ভামশি কৃষ্ণা এই কীর্তি গড়েছিলেন। এবার একই কাজ করে দেখালেন অভিজিৎ প্রবীন, নাভিও যুব ট্রফি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে টানা ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।

আথিয়া ক্রিকেট একাডেমির মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল মাস্টারস সিসি এবং ট্রিডেন্ট ক্রিকেট একাডেমি। মাস্টারসের হয়ে অভিজিৎ স্রেফ তুলোধুনো করেছেন বোলারদের, তবে তাঁর উত্তাপ সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছেন লেগ স্পিনার ফ্রাঞ্চিস।

জো যখন বোলিংয়ে আসেন এই ব্যাটার তখন ৬৯ রানে অপরাজিত, এরপর ছয় বলের ব্যবধানে তিনি পৌঁছে যান ১০৫ রানে। প্রথম দুই বল লং অফের উপর দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন, পরের দুইটি বল যথাক্রমে ডিপ মিড উইকেট এবং কাউ কর্নার অঞ্চল দিয়ে মেরেছিলেন; আর শেষ দুইটি ছয় হয়েছিল লং অনে।

ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে সেঞ্চুরি পূরণ করতে পেরে দারুণ খুশি অভিজিৎ। তিনি বলেন, ‘আমি এর আগেও এক ওভারে পাঁচটি ছক্কা মেরেছিলাম কিন্তু ছয়টি ছয় মারতে পারাটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মত। প্রথম দুই বলে ভাল টাইমিং করার পরেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমার আরো ছক্কা মারার চেষ্টা করা উচিত। আমি এখনও সেসময়ের কথা ভাবলে রোমাঞ্চ অনুভব করি।’

সবমিলিয়ে এই ব্যাট থেকে এসেছে ১০৬ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এমন বিধ্বংসী পারফরম্যান্সের কল্যাণে ১০৬ রানের বড় জয় পেয়েছে মাস্টারস সিসি। ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলায় প্রশংসা করতে কোন কার্পণ্য করেননি এই নব্য তারকার পুরনো কোচ বিজু জর্জ।

তিনি বলেন, ‘তাঁর বাহুতে অনেক শক্তি আছে এবং শটগুলি অনেক দূরে যায়। সে ছয় মারার সহজ কিন্তু কার্যকরী অনেক কৌশল জানে। আমি জানতাম অভি এরকম অবিশ্বাস্য কিছু করার সামর্থ্য রাখে পারে এবং তাঁকে দেখে আমি খুশি। আশা করি, এই প্রতিভাব কারো চোখে পড়বে; তাঁকে বড় মঞ্চে পারফরম করার সুযোগ দিবে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...