বড় জয় শেখ জামালের

৩৬ বলে ৬০ রান করেন সৈকত আলী এবং মাত্র ১৭ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান। এছাড়া ৪৪ রান আসে ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। এই তিন জনের ম্যাচ জয়ী ইনিংসে বৃথা গেছে মোহাম্মদ মিঠুনের লড়াকু হাফসেঞ্চুরি।

লক্ষ্যটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন সৈকত আলী। আর শেষের দিকে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন নুরুল হাসান সোহান। এই দুই জনের অনবদ্য ব্যাটিংয়েই ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

৩৬ বলে ৬০ রান করেন সৈকত আলী এবং মাত্র ১৭ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান। এছাড়া ৪৪ রান আসে ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। এই তিন জনের ম্যাচ জয়ী ইনিংসে বৃথা গেছে মোহাম্মদ মিঠুনের লড়াকু হাফসেঞ্চুরি।

সকালে প্রবল বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু হওয়ার পর উইকেট শুরুতে ব্যাট করার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। শট খেলা খুব একটা সহজ ছিল না। এই কঠিন উইকেটে ৪২ বলে ৬৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতায় বৃথা যায় এই ইনিংসটি।

তবে ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা শেখ জামালের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১০ রানে ৪ বলে ৫ রান করে ফিরে যান মোহাম্মদ আশরাফুল। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সৈকত ও ইমরুল কায়েসের ১০০ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় শেখ জামাল।

দারুণ খেলতে থাকা সৈকত ও ইমরুল ফিরে গেলেও জয় পেতে সমস্য হয়নি শেখ জামালের। নুরুল হাসান সোহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে শেখ জামাল। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন রুবেল হোসেন, নাহিদুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা প্রাইম ব্যাংকের শুরুটা ভালো হয়নি। ইলিয়াস সানির জোড়া আঘাতে ফিরে যান দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও রুবেল মিয়া। রনি করেন ১১ রান ও রুবেলের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। ৫১ রানে দুই উইকেট হারানোর পর এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে ঘুঁড়ে দাঁড়ায় প্রাইম ব্যাংক।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৪১ রান। ২৮ বলে ২৭ রান করে জিয়াউর রহমানের প্রথম শিকার হয়ে বিজয় ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। এরপর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি প্রাইম ব্যাংককে। চতুর্থ উইকেটে মাত্র ৪০ বলে ৭৩ রান যোগ করেন মিথুন ও রাকিবুল হাসান। এই দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়েই ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে প্রাইম ব্যাংক।

৪২ বলে ৬৭ রান করে মিথুন ও ১৯ বলে ৩৪ রান করে রাকিবুল অপরাজিত থাকেন। শেখ জামালের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করেন ইলিয়াস সানি ও একটি উইকেট শিকার করেন জিয়াউর রহমান।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ১৬৪/৩ (ওভার: ২০; রনি- ১১, রুবেল- ২১, বিজয়- ২৭, মিঠুন- ৬৭*, রাকিবুল- ৩৪*) (সানি- ৪-০-২৯-২)

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ১৬৫/৩ (ওভার: ১৮.১; সৈকত- ৬০, ইমরুল- ৪৪, নুরুল- ৪৪*) (নাহিদুল- ৪-০-২৩-১)

ফলাফল: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...