মিস্টার ফিক্স ইট

ব্যাটিং বিপর্যয় ক্রিকেটের নতুন নয়। বাঘা-বাঘা দলেরও এই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। ব্যতিক্রম নয় অস্ট্রেলিয়াও। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই খাদের কিনারায় থাকায় ব্যাটিং আক্রমণকে রীতিমত একাই টেনে তোলেন অস্ট্রেলিয়ার মিডেল অর্ডার ব্যাটার স্টিভেন স্মিথ। ১১৯ রানের ছোট্ট পুঁজির বিপক্ষে ৩৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়াকে সেদিন ম্যাচ জেতাতে ভূমিকা রেখেছিলেন স্টিভ স্মিথ।

ব্যাটিং বিপর্যয় ক্রিকেটের নতুন নয়। বাঘা-বাঘা দলেরও এই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। ব্যতিক্রম নয় অস্ট্রেলিয়াও। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই খাদের কিনারায় থাকায় ব্যাটিং আক্রমণকে রীতিমত একাই টেনে তোলেন অস্ট্রেলিয়ার মিডেল অর্ডার ব্যাটার স্টিভেন স্মিথ। ১১৯ রানের ছোট্ট পুঁজির বিপক্ষে ৩৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়াকে সেদিন ম্যাচ জেতাতে ভূমিকা রেখেছিলেন স্টিভ স্মিথ।

একপ্রান্ত আগলে রেখে বিপর্যয় সামাল দেন ৩৪ বলের ৩৫ রানের এক কার্যকরী ইনিংস খেলে। সেখান থেকে শেষের দিকে মার্কাস স্টোয়িনিস এবং ম্যাথু ওয়েডের ক্যামিওতে জয় তুলে নিতে বেশ কষ্ট পোহাতে হয়নি টিম অস্ট্রেলিয়াকে। স্মিথ ফিক্স করে দিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসকে।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন তাই স্মিথের প্রশংসা করে তাঁকে আখ্যায়িত করেছেন ‘মিস্টার ফিক্সইট’ বলে। তবে তিনি নির্দ্বিধায় একথাও বলেছেন যে তিনি তাঁর দলে স্মিথকে রাখতেন না। স্মিথের কাছে ইনিংস ফিক্স করা বা বিপর্যয়ের হাল ধরবার সুযোগ এর পরের ম্যাচগুলোতে খুব একটা না পেলেও ওয়ার্ন তাঁর উপর অন্তত এই বিশ্বকাপের জন্যে ভরসা রাখছেন।

স্মিথ এবং অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং নিয়ে ওয়ার্ন এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘ অজিরা নিজেদের সঠিক ব্যাটিং অর্ডার এবং ফর্ম খুঁজে পেয়েছে। এখান থেকে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপও জিততে পারে। আমি আমার একাদশে স্মিথকে রাখতাম না। কিন্তু তিনি তাঁর মিস্টার ফিক্সইট রোলটার যথাযথ ব্যবহার তিনি করছেন। তাড়াতাড়ি উইকেট পতনে তিনি আগে উইকেটে চলে আসেন, তেমন কিছু না ঘটলে তিনি পরে নামছেন  এবং বিস্টদের (মার্শ, ম্যাক্সওয়েল, স্টোয়িনিস) আগে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।’

মূলত দলের প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেকে সেট করে খেলার চেষ্টা করছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী প্রতিপক্ষে এবারের আসরের অপরাজেয় দল পাকিস্তান। তাঁদের বিপক্ষে কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারকে। পাকিস্তান যেমন ব্যাটিং এর দিক থেকেও রয়েছে ফর্মের তুঙ্গে, তেমনি শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ, সাদাব খান, হাসান আলীদের নিয়ে গড়া বোলিং লাইনআপ বেশ ভোগাবে অজিদের তা আন্দাজ করাই যায়।

অস্ট্রেলিয়া আবার কোন ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কি না এবং সেখান থেকে স্মিথ আবার দলকে টেনে তুলতে পারেন কি না তা দেখতে হবে ১১ নভেম্বর অবধি। সেদিন আরব আমিরাতের দুবাইয়ে দুই দল মুখোমুখি হবে টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে। কিংবা উল্টো ঘটনাও ঘটতে পারে। সবই সম্ভাবনা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...