ইউরোপীয় ফুটবলে যখন গ্রীষ্মকালীন দলবদল চলছে; প্রতিটা ক্লাব যখন নিজেদের স্কোয়াড ঢেলে সাজাতে দৌড় ঝাঁপ করেছে বাংলাদেশ তখন ছিল উত্তাল। ফুটবল সমর্থকেরা তাই চাইলেও ঠিকঠাক খোঁজ রাখতে পারেননি কোন ফুটবলারের ক্লাব পাল্টে গিয়েছে সময়টাতে। দলবদল এখনো শেষ হয়নি, তবে এখন পর্যন্ত সাড়া জাগানো কিছু ‘ট্রান্সফার’ তুলে ধরেছে খেলা-৭১।
এক্ষেত্রে সবার আগে উঠে আসবে কিলিয়ান এমবাপ্পের নাম, গত কয়েক বছর ধরে চলমান নাটকের অবসান ঘটিয়ে এবারই রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন তিনি। রিয়ালের হয়ে খেলাটা তাঁর ভাগ্যে লেখাই ছিল, তাই পিএসজির এত এত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আর এই সুপারস্টারকে দলে ভেড়াতে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের খরচ শূন্য ইউরো অর্থাৎ যার পিছনে পিএসজির কাড়াকাড়ি বিনিয়োগ তাঁকে মুফতে পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
এরপর বলতে হয় জুলিয়ান আলভারেজের কথা; বড় ক্লাবে ছিলেন, লাইমলাইটও পাচ্ছিলেন মোটামুটি। কিন্তু উদীয়মান থেকে পুরোদস্তুর তারকা হয়ে যাওয়া আলভারেজ আর ডি ব্রুইনা-হাল্যান্ডের ব্যাকআপ হয়ে থাকতে চাইলেন না। সেজন্যই ৭৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে যোগ দিয়েছেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে।
ইউরো চলাকালীন সময়েই স্পেনের উইঙ্গার নিকো উইলিয়ামসের দিকে চোখ ছিল বার্সেলোনার, তবে তাঁকে কেনা সম্ভব হয়নি আপাতত। এর পরিবর্তে ইউরো কাঁপানো আরেক স্প্যানিশ দানি অলমোকে নিজেদের করে নিয়েছে দলটি। ৫৫ মিলিয়ন ডলার খরচায় আরবি লাইপজিগ থেকে তাঁকে নিয়ে এসেছে তাঁরা।
এছাড়া ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মঞ্চে মুগ্ধ করেছিলেন ডিফেন্ডার রিকার্ডিও ক্যালাফিওরি। তাঁর দিকে নজর রেখেছিল অনেক বড় বড় দল; শেষমেশ ৪৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে আর্সেনালে যোগ দিয়েছেন এই ইতালিয়ান। আরেক আলোচিত ডিফেন্ডার লেনি ইয়োরো যুক্ত হয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শিবিরে। তাঁর জন্য খরচ করতে হয়েছে ৬২ মিলিয়ন ডলার।
অনেক আগেই চুক্তি সম্পাদন হলেও এবারই পালমেইরাস ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে এসেছেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ ফেলিপ্পে এন্ড্রিক। অন্যদিকে স্বদেশী তরুণ স্যাভিনহো জিরোনা ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। গত আসর জিরোনাকে সেরা তিনে রাখার ক্ষেত্রে বড় অবদান ছিল তাঁর। এছাড়া আরেক সম্ভাবনাময়ী তারকা পেদ্রো নেতোকে দলে নিয়েছে চেলসি।