শেকড়ে ফিরলেন সৌম্য

ব্যাটে রান না থাকলে অনেক খেলোয়াড়ই শেকড়ে ফিরে যান।

তামিম ইকবাল কখনো মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের স্মরনাপন্ন হন। কখনো সাকিব ফিরে যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমেদর কাছে। এমনকি শচীন টেন্ডুলকারও তো ফিরে যেতেন রমাকান্ড আচরেকারের কাছে।

সেই ধারাতেই এবার নিজেকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় নেমেছেন সৌম্য সরকার। ত্রুটি বিচ্যুতি ঠিক করে নিতে ফিরে গেছেন তিনি শৈশবের কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের কাছে। বাবুল বলছেন, ত্রুটি যা সামান্য আছে, সেটা ঠিক করতে পারলে সৌম্য আবার ছন্দ ফিরে পাবেন।

বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেললেও টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন না সৌম্য সরকার। কিন্তু প্রথম টেস্টে চোট পেয়ে সাকিব আল হাসান ছিটকে যাওয়ার পর হঠাৎ করেই দ্বিতীয় টেস্টের দলে নেওয়া হয় সৌম্যকে। ঐ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ০ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।

করোনা বিপর্যয়ের আগে ভারত, পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের সাথে টেস্ট সিরিজেও খেলা হয়নি সৌম্য সরকারের। টেস্টে নিয়মিত না হলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলের নিয়মিত মুখ সৌম্য সরকার। কিন্তু এখানেও ধারাবাহিক নন তিনি। নিউজিল্যান্ড সিরিজের তিন ওয়ানডেতে সৌম্যর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৩৩ রান এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচে করেছেন ৬৬ রান।

এমন পারফরম্যান্সের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সৌম্য সরকারের। নিজকে ফিরে পেতে তাই বাধ্য হয়েই শৈশবের কোচ মিজানুর বাবুলের কাছে ছুটে গিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। সৌম্যকে নিয়ে কাজ করার পর গনমাধ্যমকে এই কোচ জানিয়েছেন টেকনিকে ঘাটতি থাকার কারণেই বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন সৌম্য সরকার।

এ প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘গতকাল কিছুক্ষণ ছিলাম, আজকে আসলাম। সৌম্য অনেক দিন রান করতে পারছে না কিছুটা তো হতাশই। যেহেতু আমাদের দিয়ে হাতেখড়ি, কিছু দায় দায়িত্ব থাকে তাদের উপর। আমরা যদি কিছুটা হলেও তাদের ফর্মে ফিরিয়ে আনতে পারি সেটা আমাদের জন্যও ভালো লাগবে, ওদের জন্যও।’

সৌম্যর সমস্যা খুব জটিল বলে মনে করছেন না কোচ। তার কাছে এটা কেবলই ভারসাম্য একটু ফিরিয়ে আনার ব্যাপার।

গত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জেমকন খুলনার প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করা এই কোচ আরো জানিয়েছেন সৌম্যর ব্যালেন্সিংয়ে সমস্যাটা বেশী হচ্ছে। আপাদত তিনি এটা নিয়েই কাজ করছেন। বাকি সব কিছু ঠিকই রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের হাত দিয়ে উঠে এসেছে, তাদের আমরা ফলো করার চেষ্টা করি। যাদের গড়ে উঠার পেছনে আমাদের সামান্যতম অবদানও আছে, এখন জাতীয় দলে খেলে তবুও আমরা তাদের ফলো করি যে কি রকম খেলছে। ভালো খেললে ভালো লাগে, অফ ফর্মে থাকলে কিছুটা তো খারাপ লাগেই। সৌম্য বুঝতে পেরেছে যে ওর ব্যালেন্সে কিছুটা সমস্যা ছিল। ওটা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে, অন্য সব ঠিকঠাক আছে।’

বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬ টি টেস্ট, ৬১ টি ওয়ানডে ও ৫৩ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন সৌম্য সরকার। টেস্টে ৮৩১ রান, ওয়ানডেতে ১৭৬৮ রান ও টি-টোয়েন্টিতে ৯৫১ রান করেছেন এই ব্যাটসম্যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link