বেশ বড় একটা সময় ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনেকদিন পর মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচে ভাল শুরু করলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সৌম্য সরকার। যদিও, সৌম্য’র হতাশার কারণ নেই। কারণ, সব ঠিকঠাক থাকলে বিশ্বকাপ দলে জায়গাটা নিশ্চিতই হয়ে গেছে তাঁর।
তাঁর ওপর দলের টেকনিক্যাাল কনসালটেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরামের মনে ধরেছে সৌম্য’র ইনটেন্ট। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ও (সৌম্য সরকার) শট খেলেছে এবং আউট হয়ে গেছে। এটাই তো ইটেন্ট। আমার মনে হয় সে দলের জন্য খেলে, ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য নয়। সে শুরুতে মারার চেষ্টা করেছিল, যখন আমরা ৬-৭ রান করে পাচ্ছিলাম। সে অচলায়তন ভাঙতে চেয়েছে এবং আউট হয়েছে, এটা হতে পারে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের প্রসঙ্গও টানলেন শ্রীরাম। সেই ম্যাচে সৌম্য ১৭ বলে করেন ২৩ রান। শ্রীরাম বলেন, ‘ও শেষ ম্যাচে তিন নম্বরে দারুণ ইনিংস খেলেছে। তাই আমি মনে করি এটা ভালো লক্ষণ। ও এমন একজন খেলোয়াড় যাকে আমি পছন্দ করি। আমাদের দরকার তাঁর মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা।’
সৌম্য সরকার সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন। সেবার বাংলাদেশের হয়ে চারটা ম্যাচও খেলেন। অফ ফর্মের জন্য সেই যে বাদ পড়লেন, তাঁকে ফেরানো হল আরেকটা বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে।
আর বিশ্বকাপের আগে দলে বড় ধরণের পরিবর্তনও আসন্ন। বিশেষ করে ত্রিদেশিয় সিরিজের পর পরিকল্পনা পাল্টেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সৌম্যকে রাখা হবে সেই দলে। তাঁর বোলিংটাও ব্যবহার করতে চাইছে বাংলাদেশ দল। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে যে সৌম্য সরকার খেলছেন সেটা মোটামুটি নিশ্চিতই। আর এখানে যে শ্রীধরন শ্রীরামের বড় একটা হাত আছে সেটা বলে না দিলেও চলে।
সৌম্য সরকার দলে যোগ হলে কপাল পুড়তে পারে সাব্বির রহমানের। অনেকদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছিলেন এই হার্ড হিটার। এবার অবশ্য বাংলাদেশ দল তাঁকে ব্যবহার করেছে ওপেনার হিসেবে। চার ম্যাচে সুযোগ পেলেও কোনটিতেই কাজে লাগাতে পারেননি এই ব্যাটার। চার ম্যাচে তাঁর ইনিংসগুলো যথাক্রমে ৫,০,১২ এবং ১৪।
অন্যদিকে পেস বোলিং বিভাগেও আসবে পরিবর্তন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের জায়গায় ঢুকে যেতে পারেন শরিফুল ইসলাম। সব ঠিকঠাক থাকলে দলে পরিবর্তন এই দু’টোই। তাতে বাংলাদেশের ভাগ্য পাল্টাবে কি না তা জানতে সময়ের অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।