যদিও প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড এবং তাদের সঙ্গে যে কোনো প্রেক্ষাপটে জেতা উচিত, তার পরও তামিম-লিটন-সাকিবের বিদায়ের পর ওই পরিস্থিতি থেকে এমন জয় স্পেশাল কিছুই।
গত ২-৩ বছরে অনেক অনেক টক শোতে বারবার বলেছি, নাজমুল হোসেন শান্তকে আমি ক্যাপ্টেন ম্যাটেরিয়াল মনে করি, তার ক্রিকেট থিংকিং লেভেল দুর্দান্ত এবং ভবিষ্যতে তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হবেন বলেই ধারণা করি। কালকেও (বৃহস্পতিবার) একটা টক শোতে এটা বলেছি।
তবে, সেখানে পাশাপাশি এটা বলেছি, এই সময়ের ক্রিকেটে এবং বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে তিন নম্বর ব্যাটসম্যানের যে দায়িত্ব ও পরিধি থাকবে এবং যে লেভেলের ব্যাটসম্যানশিপ প্রয়োজন, বড় দলগুলির বিপক্ষে ও ভালো বোলিং আক্রমণের সঙ্গে শান্ত এখনই সেই দাবি মেটানোর মতো পর্যায়ে আছেন কি না বা সহসাই যেতে পারবেন কি না, ঠিক নিশ্চিত নই।
সেই সংশয় এখনও আছে। তবে আজকের ইনিংসটি শান্তকে যেমন অনেকের কাছে নতুন করে চিনিয়েছে, তেমনি শান্তর নিজেকেও অনেক অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাবে। তার নিজেকে জানতে, বুঝতে ও বোঝাতে সহায়তা করবে।
তাওহীদ হৃদয়ের শুরুটা দারুণ হলো ওয়ানডে ক্রিকেটে। যদিও সব ম্যাচ এখনও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গেই খেললেন এবং বড় চ্যালেঞ্জ অনেক আছে সামনে, তবে সেসব পরীক্ষায় তিনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামতে পারবেন।
মুশফিক যেভাবে শেষটা করলেন, এত এত ম্যাচ খেলা আর এত বছরের অভিজ্ঞতার পরও, এটি তাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। বিশেষ করে নতুন এই ভূমিকায়। তাঁকে ছয়ে খেলানোর এই সিদ্ধান্ত – কে জানে… হয়তো, হয়তো… বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের মোড় বদলে দিতে পারে।
বিশ্বকাপের যে আবহ, কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ থাকবে, সেসবের দিক থেকে এই সিরিজ আসলে বাংলাদেশের জন্য তেমন অর্থবহ নয়। তবে এই ব্যক্তিগত প্রাপ্তিগুলো গুরুত্বপূর্ণ, দল হিসেবে কিছু কিছু ফাইন টিউন করা গুরুত্বপূর্ণ। এই পারফরম্যান্সগুলো ও ম্যাচ জয়ের ধরন সেখানে কাজে দেবে।
– ফেসবুক থেকে