পাকিস্তানের পেস আক্রমণভাগকে অন্যতম সেরা বলাই যায়, যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে সফল হওয়ার সামর্থ্য আছে শাহীন শাহ, হারিস রউফদের। কিন্তু স্পিনাররা ঠিক উল্টো, বড্ড গড়পড়তা। আর এই বিশ্বকাপে পাক পেসাররা সেরা ছন্দে পারফর্ম করতে না পারায় এই দুর্বলতা ফুটে উঠেছে আরো বেশি করে।
ফলে বিশ্বজুড়েই নেতিবাচক আলোচনার শিকার হচ্ছেন শাদাব খানরা। বাদ যাননি দুই ভারতীয় কিংবদন্তি বীরেন্দর শেবাগ এবং আশিষ নেহরা। পাকিস্তানের স্পিনারদের সমালোচনায় কোন ছাড় দেননি – বিশেষ করে নওয়াজ এবং শাদাবের দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁরা।
এই দুই সাবেক ক্রিকেটারের মতে, পাকিস্তানের স্পিনাররা নখদন্তহীন। শুরুর দিকে সৃষ্ট চাপ ধরে রাখতে পারে না তাঁরা; এমনকি অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও বলার মতো পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ভারতীয় পেসার বলেন, ‘পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণও ততটা ভয়ঙ্কর নয় এখন, যতটা নাসিম শাহ খেলার সময় ছিল। এমনকি তাদের দুই স্পিনার শাদাব ও নওয়াজও কিছুটা অলরাউন্ডারের মতো – পিচের সুবিধা পেলেও প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে পারেনি। তাই পাকিস্তানের স্পিন বোলিংও চিন্তার বড় কারণ। তারা কোনো সুযোগই সৃষ্টি করতে পারছে না।’
অন্যদিকে স্পিনারদের উইকেট না নিতে পারার ইস্যু তুলে ধরেন শেবাগ। তিনি মনে করেন, ফাস্ট বোলারদের উপর চাপ কমাতে স্পিনারদের উইকেট-টেকার হওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এই তারকা বলেন, ‘পাকিস্তান যে বড় সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তা হলো তাঁদের স্পিনার শাদাব ও নওয়াজের উইকেট না পাওয়া। ভারতে স্পিনারদের উইকেট নিতে হবে নাহলে পেসারদের উপর চাপ বাড়বে। আমরা অনেকবার দেখেছি, জাদেজা-অশ্বিনরা মাঝের ওভারে উইকেট নিতে পারায় ভারত হেরে গিয়েছে। যদি তাঁরা এটার সমাধান না করে তবে তাঁরা সমস্যায় পড়বে।’
স্বদেশী স্পিনারদের সাথে তুলনা করে নেহরা আরো বলেন, ‘ভারতের বোলিং দেখলে দেখা যায়, পাকিস্তানের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। কিন্তু, কুলদীপ দুটি উইকেট তুলে নিতেই খেলা বদলে যায়। সে তাঁর প্রথম দিকের ওভারগুলোতে চাপ তৈরি করেছিল এবং পরে সেটার পুরষ্কার পেয়েছে। ভারতের সাথে তুলনা করলে আপনি পাকিস্তানের স্পিনারদের মধ্যে এমন কিছু দেখতে পাবেন না।’