টেস্ট স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবেই বেশি পরিচিতি তাইজুল ইসলামের। তবে ফরম্যাট বদলে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণেও যেন বড্ড কৃপণতা বাঁ-হাতি এ স্পিনারের। লাল বলের ক্রিকেটে নিজের চিরায়ত রূপের রূপায়ণ ঘটালেন বিপিএলের মঞ্চেও।
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচে গুণে গুণে ১৮ টা বল করেছেন। এর মধ্যে ১১ টা বলেই কোনো রান বের করতে পারেনি প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা। উল্টো খুলনার দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারের উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ফরচুন বরিশালের হয়ে এ দিন ইনিংসের ১০ম ওভারে বোলিং প্রান্তে এসেছিলেন তাইজুল ইসলাম। খুলনা টাইগার্সের ইনিংসে ততক্ষণে ৪ ব্যাটার সাজঘরে। তবে রান রেট তখন ৬-এর উপরে। ইনিংসের মাঝের ওই সময়ে এসেই দৃশ্যপট বদলে দেন তাইজুল।
নিজের ৩ ওভারের স্পেল শেষে খুলনার রান রেট তখন নেমে যায় ৬-এর নিচে। একই দুটি উইকেটও শিকার করেন বাঁ-হাতি এ স্পিনার। শুরুটা করেন মাহমুদুল হাসান জয়কে ফিরিয়ে। এর ঠিক এক বল বাদেই তাইজুলের বলে বোল্ড দাসুন শানাকা।
ব্যাস। খুলনা টাইগার্সের রান গতি থেমে যায় সেখানেই। তাইজুলের ৩ ওভারের স্পেলে একটিও বাউন্ডারি বের করতে পারেনি খুলনার ব্যাটাররা। শুধু বাউন্ডারি নয়, তাইজুলের বলে এ দিন ডাবলসও নিতে পারেনি কোনো ব্যাটার। ১১ ডটে বিপরীতে ৭ বলে ৭ টা সিঙ্গেলেই ক্ষান্ত থেকেছে প্রতিপক্ষরা।
তবে এরপরও বিস্ময় হয়ে থেকে, তাইজুলের ৪ ওভারের কোটা না পূরণের ব্যাপারটা। দিনের সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল বোলার হওয়া সত্ত্বেও এ দিন নিজের ৪ ওভারের কোটা পূরণ করতে পারেননি এ স্পিনার। আর তার মাশুলও শেষ দিকে দিতে হয়েছে বরিশালকে।
১৪ ওভারে ৮০ রানে ৬ উইকেট হারানো খুলনা টাইগার্স শেষ ৬ ওভারে তোলে ৭৫ রান। তবে খুলনার শেষ দিকের ঝড়ে ম্লান হয়ে যায়নি তাইজুলের ইকোনমিক্যাল বোলিং। ৩ ওভারে ৭ রান দিয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও নিজের ছাপটা রাখলেন ঠিকই।