আগামীকাল বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন এক অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে।
করোনার দুঃসময়কে পাশ কাটিয়ে আবার মাঠে ফিরছে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট। তার চেয়ে বড় কথা, আগামীকালকের ম্যাচটি দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে শুরু হচ্ছে তামিম ইকবালের যুগ।
এই প্রথম দায়িত্ব পাওয়া অধিনায়ক হিসেবে কোনো সিরিজ শুরু করছেন তামিম। এখন সবারই একটা প্রশ্ন, তামিম এই সময়ে ঠিক কী ধরণের ক্রিকেট খেলবেন? অস্ট্রেলিয়ার মতো আক্রমনাত্মক ক্রিকেট, নাকি সহনশীল ক্রিকেট, নাকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো পাওয়ার ক্রিকেট!
তামিম ইকবাল বলছেন, তিনি চান না যে, বাংলাদেশ অন্য কারো মতো ক্রিকেট খেলুক। তিনি চান, ক্রিকেটে বাংলাদেশী একটা ব্র্যান্ড তৈরী হোক। তামিম বলছিলেন, ‘বাংলাদেশি ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট খেলতে চাই। সব দেশের ক্রিকেটের একটা নিজস্ব স্টাইল থাকে। আমরাও একটা স্টাইল দাড় করাতে চাই। অনেকে বলেন, আমাদের শক্তি নেই। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো খেলতে পারবো না। আবার আমাদের ভেতর হয়তো আরও অনেক কিছু নেই। কিন্তু এটাও সত্যি যে, আমাদের দলে এমন কিছু ফ্যাক্টর আছে, যা অন্য কারো নেই। সেটা কাজে লাগিয়ে আমরা নিজেদের মতো ক্রিকেট খেলতে চাই। আমরা নিজেদের একটা ব্র্যান্ড তৈরী করতে চাই।’
তামিমের জন্য অবশ্য কাজটা সোজা হবে না। তাকে অধিনায়কত্ব করতে হবে মাশরাফি বিন মুর্তজার চেয়ারে বসে। বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজেই অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। তার ছেড়ে যাওয়া এই দায়িত্ব পালন করা যে কঠিন, এটা তামিমও জানেন। তারপরও তিনি নিজের স্টাইলেই কাজটা করে আয়ত্বে আনতে চান।
তামিম বলছিলেন, ‘মাশরাফি ভাইয়ের জুতো পায়ে গলানো খুব কঠিন। বছরের পর বছর উনি অসাধারণভাবে কাজটা করেছেন। মাশরাফি ভাই বেস্ট ক্যাপ্টেন ছিলেন। ফলে আমার কাজটা সোজা হবে না। তবে আমি নিজের মতো করে কাজটা করতে চাই। সবার কাছ থেকে পরামর্শ নেবো এবং নিজের মতো করে কাজটা করবো।’
তামিম বলছেন, অধিনায়কত্বের ব্যাপারটা তিনি যখন মেনে নিয়েছেন, তখন থেকেই এর সাথে আসা সব কিছুই মেনে নিয়েছেন। আর এই ব্যাপারগুলো তিনি উপভোগও করছেন। যখন উপভোগ করবেন না, দল ভালো করলেও তিনি হয়তো থাকবেন না। তিনি ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করে বলছিলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত সব খুব উপভোগ করছি। আমি তো মনে করি না যে, ২০২৩ পর্যন্ত দল ভালো করলে এবং সব ঠিক থাকলে আমার না থাকার কোনো কারণ নেই। তবে যখন উপভোগ করবো না, তখন আলাদা ব্যাপার হবে। তখন হয়তো আমি ভিন্নভাবে ভাববো।’