নেতৃত্ব পরিবর্তনের জোরালো গুঞ্জন

মাঠে ফিরলেও, অধিনায়কত্ব নেওয়ার মত অবস্থায় তামিম আছেন কি না - সেটা নিয়েও আছে প্রশ্ন। বিসিবির একটি অংশ মনে করে, এই অবস্থায় নেতৃত্বটা তামিমের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে যায়। ফলে, তামিমকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়ার একটা গুঞ্জন আছে।

কয়েকটা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে পুরোপুরি ফিট নন ওয়ানডের নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি ইনজেকশন নিয়ে ফিরেছেন দেশে, এখন মাঠে কবে ফিরতে পারবেন – তাঁর অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

আবার মাঠে ফিরলেও, অধিনায়কত্ব নেওয়ার মত অবস্থায় তামিম আছেন কি না – সেটা নিয়েও আছে প্রশ্ন। বিসিবির একটি অংশ মনে করে, এই অবস্থায় নেতৃত্বটা তামিমের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে যায়। ফলে, তামিমকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়ার একটা গুঞ্জন আছে।

তবে, বিসিবি চায় মাঠে ফেরা ও অধিনায়কত্ব – দুটো সিদ্ধান্তই তামিমের কাছ থেকে আসুক। আর জাতীয় দলের বাকি ক্রিকেটারদের ফোকাস এসব ইস্যুতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারাও জানতে চান, বিশ্বকাপে কে হবেন বাংলাদেশের অধিনায়ক?

দুটো নাম আগের মত এখনও আছে। তাঁরা হলেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। এখন এখানে সমস্যা হল, সাকিবকে স্বল্প মেয়াদে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। এরকম ব্যবস্থায় টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব রাজি নন। সেক্ষেত্রে বিকল্প হতে পারেন ওয়ানডের সহ-অধিনায়ক লিটন।

তবে, লিটন দাসের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা খুবই কম। তাই, বিশ্বকাপের মত আসরে তাঁকে আদৌ দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, বা তিনি নিজে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত কি না – সে নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। সব মিলিয়ে অধিনায়কত্ব ইস্যুতে একটা ধাঁধার মধ্যেই আটকে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।

ধাঁধা সমাধানেই কি না, ধানমণ্ডির বেক্সিমকো কার্যালয়ে নির্বাচক প্যানেলের তিনজনের সাথে বসেছিলেন স্বয়ং বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্সের প্রধান জালাল ইউনুসও। তবে, সেখান থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা আসেনি। গণমাধ্যমেও ফলাও করে কোনো কিছুর আভাস দেননি বিসিবি সভাপতি।

এশিয়া কাপের আগে বাকি এক মাসেরও কম সময়। অন্যদিকে, বিশ্বকাপের আগে বাকি মাস দুয়েক। এই মুহূর্তে নিয়মিত অধিনায়ক তামিমের সাথে দলের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আর তামিমের ফেরার ব্যাপারটা এখনও নিশ্চিত নয়।

আর ফিরলেও তিনি টানা ক’দিন খেলতে পারবেন – সেটা নিয়েও আছে শঙ্কা। কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকেই এই ব্যাপারে নিশ্চয়তা পাননি তামিম। আর ফিটনেস না থাকলে যে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না – সেটা পরিস্কার করে দিয়েছেন কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। ফলে, নেতৃত্বের পরিবর্তনের গুঞ্জনটা বেশ জোরালোই বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গণে। তবে, সেই হট সিটে বসবেন কে? – এই প্রশ্নে আটকে আছে বিসিবি।

বিশ্বকাপের সামান্য ক’দিন আগে অধিনায়কত্ব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলতে পারে। তার ওপর স্বয়ং তামিম ইকবালকেও তো নিজের অবস্থানটা পরিস্কার করতে হবে। আপাতত সে পর্যন্তই না হয় অপেক্ষা করা যাক।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...