বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের সবথেকে উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি। পরিশ্রম, পারফরম্যান্স কিংবা চ্যাম্পিয়ন মানসিকতায়, তাসকিন আহমেদ প্রতিনিয়তই নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। মাশরাফি পরবর্তী সময়ে পেস আক্রমণের নেতৃত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন; মুস্তাফিজ, শরীফুল, এবাদত কিংবা হালের তানজিম সাকিবকে নিয়ে গড়েছেন বিশ্বমানের পেস বোলিং আক্রমণ।
নেতাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হয়। তাসকিন জানেন এবং জানেন বলেই প্রতিপক্ষের উপরে ছড়ি ঘোরান সামনে থেকে। পরিসংখ্যান বলে, ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচ পর্যন্ত তাসকিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১৬ টি। ১৬ ম্যাচে ১৪.০৬ গড় এবং ১২.৪ স্ট্রাইক রেটে উইকেট শিকার করেছেন ৩০ টি, ইকোনমি মাত্র ৬.৮০!
সাদা চোখেই তাসকিনের এই পরিসংখ্যান দুর্দান্ত। কিন্তু কতটা দুর্দান্ত জানতে হলে যাওয়া প্রয়োজন আরেকটু গভীরে। এই সময়কালে তাসকিন একবার নিয়েছেন ৪ উইকেট এবং ৩ উইকেট নিয়েছেন দুইবার। তবে ১৬ ম্যাচে একবারের জন্যও উইকেট শূন্য ছিলেন না ‘দ্য ঢাকা এক্সপ্রেস’।
এই দেড় বছরে টেস্ট খেলুড়ে দেশ গুলোর কমপক্ষে ৩০ উইকেট নিয়েছেন এমন বোলারদের মধ্যে তাসকিনের ১৪.০৬ গড় সর্বনিম্ন। ১২.৪ স্ট্রাইক রেটের থেকে কম স্ট্রাইক রেটে উইকেট নিতে পারেন নি অন্য কোন বোলার। অর্থাৎ তাসকিনের প্রতি ১৪ রান খরচ এবং ১২ বলে একটি উইকেট শিকারের থেকে কম বল বা রান খরচ করে উইকেট শিকার করতে পারেন নি অন্য কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের বোলাররা।
গড় কিংবা স্ট্রাইক রেটের আলোচনায় এগিয়ে থাকা তাসকিন ইকোনমিতেই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন? একই মানদণ্ডে তাসকিনের থেকে ওভার প্রতি কম রানও খরচ করেন নি কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের বোলার। সাথে যদি যোগ করা হয়, ম্যাচ প্রতি প্রায় ২ উইকেট, পরিসংখ্যান বলবে এই সময়ের ক্রিকেট বিশ্বের সেরা বোলার বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ।
তাসকিনের অর্জন যেমন গর্বের গল্প শোনায়, পিছনে উঁকি দেয় ইনজুরির ভয়াল হুমকি। বিশ্বকাপের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা ওড়াতে, তাসকিনকে যে বাংলাদেশের বড্ড দরকার।