পুরো ক্রিকেট বিশ্ব যখন ব্যস্ত বিশ্বকাপ নিয়ে, আবুধাবি টি-টেন লিগের ড্রাফট তখন হয়ে গিয়েছে খানিকটা চুপিসারেই। আট দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের সপ্তম আসর বসতে যাচ্ছে এবার, আর সেই উপলক্ষে দল সাজিয়ে নিয়েছে সব ফ্রাঞ্চাইজি; নিজেদের পরিকল্পনামত ক্রিকেটার কিনে শক্তিশালী করেছে স্কোয়াড।
আর এই ড্রাফটে বাংলাদেশিরাও নাম লিখিয়েছেন; তামিম ইকবাল, লিটন দাসের মত বড় তারকারা ছিলেন সেখানে। প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতেও রাখা হয়েছে লিটনকে; কিন্তু শেষমেশ দল পাননি দুজনের কেউই।
তবে সবাইকে অবাক করে জিয়াউর রহমানকে টেনেছে টুর্নামেন্টের সফলতম দল নর্দান ওয়ারিয়র্স। এছাড়া ইনফর্ম তাসকিন আহমেদকে দলে ভিড়িয়েছে বাংলাদেশের ফ্রাঞ্চাইজি বাংলা টাইগার্স।
বাইরের দেশের লিগ খেলার অভিজ্ঞতা অবশ্য নতুন নয় তাসকিনের জন্য। এর আগে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত টি-টেন লিগে খেলেছিলেন তিনি। সেই টুর্নামেন্টে এই পেসার ছিলেন দারুণ ছন্দে, মাত্র সাত ম্যাচ খেলেই নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। উইকেটের দিক দিয়ে চতুর্থ সেরা হলেও বোলিং গড়ের ক্ষেত্রে টুর্নামেন্ট সেরা ছিলেন তিনি।
এছাড়া রান খরচের দিক দিয়ে এই ডানহাতি ছিলেন বেশ কিপ্টে। ওভারপ্রতি মাত্র ৭.৮৬ রান দিয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর ফ্রাঞ্চাইজি লিগে এমন ফর্ম দেখেই বাংলা টাইগার্স বেছে নিয়েছে তাঁকে।
যদিও জিয়াউর রহমানের দল পাওয়া কিছুটা হলেও চমক ছিল। অনেক বছর ধরেই জাতীয় দলে ব্রাত্য তিনি, ঘরোয়া ক্রিকেটেও আহামরি পারফর্ম করেন না। তবুও নর্দান ওয়ারিয়র্স ভরসা রেখেছে তাঁর উপর, এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার নিশ্চয়ই সেই ভরসার প্রতিদান দিতে চাইবেন।
মূলত পাওয়ার হিটিংয়ে জিয়ার অন্যরকম খ্যাতি আছে। স্রেফ পেশির শক্তির জোরেই ছক্কা হাঁকাতে পারেন তিনি, আবার বল হাতেও সময়ে সময়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখেন এই ডানহাতি। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে নিজের সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ পেলেন তিনি, সেটা কাজে লাগাতে পারবেন কি না সেটিই এখন দেখার বিষয়।
তাসকিন আর জিয়া ছাড়া আরো এক বাংলাদেশিকে দেখা যাবে আবুধাবি টি-টেন লিগে, তিনি সাকিব আল হাসান। গত বারের মত এবারও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার থাকবেন বাংলা টাইগার্সের আইকন ক্রিকেটার হিসেবে।