৩০-৪০ জন ব্যাটারকে হাসপাতালে পাঠাতাম!

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বিশ্বায়ন চলছেই। তবে তা কতটা ক্রিকেট এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগছে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার অবশ্য, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোকেই ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ মনে করছেন। তাঁর মতে, ক্রিকেট তার নিজস্ব গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ব্যাটারদের আগ্রাসনের যুগে বোলারদের অসহায়ত্বও তাঁকে ব্যথিত করে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বিশ্বায়ন চলছেই। তবে তা কতটা ক্রিকেট এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগছে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার অবশ্য, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোকেই ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ মনে করছেন। তাঁর মতে, ক্রিকেট তার নিজস্ব গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে।

তবে, ব্যাটারদের আগ্রাসনের যুগে বোলারদের অসহায়ত্বও তাঁকে ব্যথিত করে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের লিগে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি (আইএলটি) টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শোয়েব আখতার। সেই টুর্নামেন্ট চলাকালীনই বর্তমান ক্রিকেট নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন সাবেক এ স্পিডস্টার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রায়োরিটিটা আগে বুঝতে হবে। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট একসাথেই চলে। আর এ কারণে ক্রিকেটারদের সময় মেলানোটাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবে, এটাই ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়া। এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাহিদা অনেক। ক্রিকেটারদেরও ইচ্ছা এখন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ধাবিত হচ্ছে। তবে, আমি খুশি, ক্রিকেট এগিয়ে যাচ্ছে। এটাই ক্রিকেটের বিশ্বায়ন।’

তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যুগে যে বোলাররা যে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে সেটি স্বীকার করে সাবেক এ পেসার বলেন, ‘থ্যাঙ্ক গড। আমি এখন আর ক্রিকেট খেলি না। এই সময়ে বোলাররা যেভাবে ব্যাটারদের কাছে দুর্বল হয়ে পড়ছে, তা আমাকে কষ্ট দেয়। আমি খেললে কখনোই সহ্য করতাম না। এটা হয়তো কঠিন হতো। তবে, আমি এক মৌসুমে ৮০০ থেকে ৯০০ ওভার বোলিং করতাম। এই সময়ের ক্রিকেটার হলে, প্রতি বছর ন্যূনতম ২০ টা লিগ খেলতাম।’

ক্যারিয়ার জুড়ে দ্রুত গতির বোলার হিসেবেই পরিচিতি শোয়েব আখতার। ইতিহাসের একমাত্র পেসার হিসেবে দু’বার ১০০ মাইলের উপরে গতিতে বল ছুঁড়েছেন। ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির বলটাও তাঁরই করা।

পেসারদের গতি নিয়ে নিজের ভাবনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পেসারদের গতি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রতিভা। কেউ জন্মগতভাবে এটা পায়। যেমন আমি পেয়েছিলাম। আর খেলোয়াড়ি জীবনে তা ধরেও রেখেছি। আমি কখনোই আমার সহজাত ধরণ থেকে বের হইনি। এমনকি আমি যদি এই সময়েও বল করতাম, উইকেট না পেলেও ৩০-৪০ জনকে অন্তত হাসপাতালে পাঠাতাম।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...