ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মার জায়গা নিশ্চিত ছিল; টপ অর্ডারে জায়গা পাওয়ার জন্য তাই লড়াইটা ছিল শুভমান গিল আর যশস্বী জয়সওয়ালের মাঝে। শেষপর্যন্ত অবশ্য জয়সওয়ালকে বেছে নিয়েছেন নির্বাচকরা, সেই সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে সময় নেননি তিনিও। স্কোয়াড ঘোষণার পর প্রথমবার মাঠে নেমেই খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস।
চলতি আইপিএলের শুরুটা যদিও ভাল হয়নি তাঁর, চেনা ছন্দের কাছাকাছি ছিলেন না। পরিচিত রূপে তাঁকে দেখতে না পাওয়ায় হতাশ হয়েছিলেন সমর্থকেরাও। সেই সাথে শঙ্কা জেগেছিল বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া নিয়ে। তবে সময়ের সাথে সাথে দ্রুতই ফর্মে ফেরেন তিনি, এরই ধারাবাহিকতায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্য।
এদিন ৪০ বল খেলে ৬৭ রান করেছেন এই ব্যাটার, এসময় সাতটি চারের সঙ্গে দুইটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। টপ অর্ডারের বাকিদের ব্যর্থতা সত্ত্বেও রাজস্থান রয়্যালস শেষপর্যন্ত লড়াই করেছে সেটির কৃতিত্ব তাঁরই।
অথচ রান তাড়া করতে নেমে বিভীষকাময় একটা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল রাজস্থানকে। নতুন বল হাতে ভুবনেশ্বর কুমার রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন, প্রথম ওভারেই দুই ইনফর্ম ব্যাটার জশ বাটলার আর সাঞ্জু স্যামসনকে আউট করেন তিনি। এক রানে দুই উইকেট হারিয়ে যখন বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দল, তখন হাল ধরেছিলেন তরুণ ওপেনার।
রিয়ান পরাগকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন তিনি। রক্ষণাত্মক অ্যাপ্রোচের ধার ধারেননি দু’জনের কেউই, ফলে উড়ন্ত সূচনা পেয়েও ম্যাচ থেকে দূরে সরে যায় হায়দ্রাবাদ। এরই মাঝে ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জয়সওয়াল, এর পাশাপাশি জয়ের সমীকরণকে একেবারে সরল করে তোলেন।
চৌদ্দতম ওভারে তাঁকে থামান টি নটরাজন, ততক্ষণে কাজের কাজটা করে ফেলেছিলেন এই তারকা। শুরুর বিপর্যয়ের পর যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে খেলেছেন তিনি, সেটা সত্যিই অনন্য ছিল। মানতেই হবে, ছন্দে থাকলে তাঁর ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাই তাঁকে ঘিরে বড় প্রত্যাশা রাখবে সবাই।