সর্বকালের সেরা বাঁ-পায়ের ফুটবলার 

নান্দনিকতা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে ফুটবলকে। ফুটবল মাঠে সেই নন্দনের অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করেন বাঁ-পায়ের খেলোয়াড়রা। ফুটবলের বর্ণালি বিশ্বে প্রতিপক্ষের দম্ভ বহুবার চূর্ণ করেছে বাঁ-পায়ের খেলোয়াড়রা। বিশ্ব ফুটবলে বাঁ-পায়ের কারিকুরি দেখিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছেন বহু তারকা। তাদের নিয়েই থাকছে আজকের আয়োজন।

নান্দনিকতা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে ফুটবলকে। ফুটবল মাঠে সেই নন্দনের অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করেন বাঁ-পায়ের খেলোয়াড়রা। ফুটবলের বর্ণালি বিশ্বে প্রতিপক্ষের দম্ভ বহুবার চূর্ণ করেছে বাঁ-পায়ের খেলোয়াড়রা। বিশ্ব ফুটবলে বাঁ-পায়ের কারিকুরি দেখিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছেন বহু তারকা। তাদের নিয়েই থাকছে আজকের আয়োজন। 

  • লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)

যুক্তি তর্ক ছাপিয়ে বিশ্বের সেরা বাঁ-পায়ের ফুটবলার হিসেবে যে নামটি উচ্চারিত হয় তা- লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। আর্জেন্টাইন এই ফুটবলার তার ক্যারিয়ারে জিতেছেন সকল শিরোপা। তাই বলা যায় ‘দ্যা গ্রেটেস্ট অব অল্টাইমের তকমাটা লিওনেল মেসির জন্যই যথার্থ।  

  • রিভালদো (ব্রাজিল)

১৯৯৯ সালে ব্যালন ডি অর এবং ২০০২ সালে বিশ্বকাপ! লম্বা আকৃতির রিভালদো ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা বাঁ-পায়ের ফুটবলারদের একজন। মেসির মতই এই ব্রাজিলিয়ান জীবনের সেরা সময়টা কাটিয়েছেন বার্সেলোনায়। 

  • ডিয়েগো ম্যারাডোনা (আর্জেন্টিনা)

বাঁ-পায়ে জাদু দেখাতে খুব কম মানুষই পেরেছেন। তাদের মধ্যে ডিয়েগো মারাডোনা থাকবেন সবার উপরে। নাপোলি এবং আর্জেন্টিনার এই ফুটবলার জিতেছেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে বাঁ-পায়ের সাথে দেখিয়েছেন বাঁ-হাতের কারিশমাটাও। 

  • অ্যারিয়েন রোবেন (নেদারল্যান্ডস)

যুগে যুগে আক্রমণ ভাগের  অসংখ্য ফুটবলার এসেছে নেদারল্যান্ডস থেকে। রবেন তাদের মধ্য অন্যতম। বায়ার্ন মিউনিখের এই কিংবদন্তি ২০১০ সালে তার দেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের দ্বার প্রান্তে। ইকার ক্যাসিয়াসের হাতে আটকা পড়ে তার বিশ্বকাপ ছোঁয়ার স্বপ্ন। তিনিও যে মাঠ মাতিয়েছেন বাঁ-পায়ের শৈলীতে। 

  • ইকার ক্যাসিয়াস (স্পেন)

নি:সন্দেহে সর্বকালের সেরা বাঁ-পায়ের গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াস। স্প্যানিশ এই তারকার রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিতেছেন অসংখ্য শিরোপা, এনে দিয়েছেন দেশের প্রথম বিশ্বকাপ, সেই সাথে দুই ইউরো। 

  • রবার্তো কার্লোস  

মাঝ মাঠ থেকে দারুণ এক কিক মানেই রবার্তো কার্লোস। শক্তিশালী শটের জন্য সুপরিচিত ছিলেন কার্লোস। ক্যারিয়ারে রক্ষণের বাম দিকটা রেখেছিলেন নিজের দখলেই। ব্রাজিল কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দেখিয়েছেন কারিকুরি। 

  •  আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (আর্জেন্টিনা)

রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম কিংবদন্তি। জিতেছেন পর পর পাঁচটি ইউরোপিয়ান শিরোপা। জিতেছেন দুই বার ব্যালন ডি’অরের খেতাব। সত্যিই আশ্চর্যময় এক প্রতিভা।

  • ফেরেঙ্ক পুসকাস (হাঙ্গেরি)

ডি স্টেফানোর আরেক সতীর্থ পুস্কাস তার ড্রিবলিং আর শুটিং দক্ষতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি তার সময়ের সেরা ফুটবলার ছিলেন, যে কি না হাঙ্গেরীকে ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপ এর ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন।

  • রবিন ভ্যান পার্সি (নেদারল্যান্ডস)

ডাচম্যান ভ্যান পার্সি প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের হয়ে রাজত্ব করেছেন বছরের পর বছর। তার প্রধান অস্ত্র ছিল শক্তিশালী শুটিং করার সক্ষমতা। নেদারল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক গোলের খেতাবটিও এখনো তার দখলে।

  • অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (আর্জেন্টিনা)

আলবিসেলেস্তাদের ২০২২ বিশ্বকাপ জেতানোর অন্যতম কারিগর ডি মারিয়া। রাইট উইং দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছেন বহুবার। বাঁ-পায়ে লিখেছেন শিরোপা জয়ের গান।  রিয়াল মাদ্রিদ, প্যারিস সেইন্ট জারমেইনের মত বিখ্যাত সব ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন তার ক্যারিয়ারে।

  • মেসুত ওজিল (জার্মানি)

মধ্যমাঠের অন্যতম খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন মেসুত ওজিল। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে বাঁ-পায়ে রচনা করেছেন দৃষ্টিনন্দন সব আক্রমণ। ২০১৪ সালে জার্মানিকে বিশ্বকাপ জেতানোর পেছনেও তিনি রেখেছিলেন অবদান।

  • রাউল গঞ্জালেস (স্পেন)

রিয়াল মাদ্রিদের সাত নম্বর জার্সিকে ভিন্ন এক মাত্রা যুক্ত করেছিলেন রাউল গঞ্জালেস। তাছাড়া স্পেনের জার্সি গায়েও তার বাঁ-পায়ের দক্ষতা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।

  • পাওলো মালদিনি (ইতালি)

পাওলো মালদিনি, রক্ষণভাগের সর্বকালের সেরা ফুটবলার। তিনি ছিলেন এসি মিলান আর ইতালির কিংবদন্তী, জিতেছেন সাতটি সিরি আ শিরোপা, পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ।

  • মোহাম্মদ সালাহ (মিশর)

অলরেড-দের সর্বকালের সেরা গোল দাতা মোহাম্মাদ সালাহ। মিশরীয় এই ফুটবলার করে যাছেন একের পর এক রেকর্ড। মাতিয়ে রাখছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ।

  • গ্যারেথ বেল (ওয়েলস)

টটেনহামে যাত্রা শুরু করা ওয়েলস এর এই ফুটবলার মাতিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মাঠ। আলোচনা-সমালোচনা উপেক্ষা করে লস ব্ল্যাংকোসদের হয়ে জিতেছেন অসংখ্য শিরোপা।

  • আর্লিং হালান্ড (নরওয়ে)

কম বয়সে ফুটবল বিশ্ব কাপানো ফুটবলাদের তালিকায় হল্যান্ড অন্যতম।

নরয়েজিয়ান এই ফুটবলার ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রথম মৌসুমেই করেন ৫২ গোল। গোলের ক্ষুধা সবসময়ই তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link