ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাও খেলেছেন এসব টুর্নামেন্টে, অনেকে ভিনদেশি লিগেও সুযোগ পেয়েছেন। তবে সবার শুরুটা এক রকম হয়নি; কেউ প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন, কেউবা পারফর্ম করে বিস্ময় উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।

ক্রিকেটের এই আধুনিক যুগে ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হয়ে উঠেছে অতি পরিচিত। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাও খেলেছেন এসব টুর্নামেন্টে, অনেকে ভিনদেশি লিগেও সুযোগ পেয়েছেন। তবে সবার শুরুটা একরকম হয়নি; কেউ প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন, কেউবা পারফর্ম করে বিস্ময় উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।

টি-টোয়েন্টি লিগে অভিষেক ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন এমন কয়েকজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কথা জেনে নেয়া যাক।

  • সাকিব আল হাসান 

নিশ্চিতভাবেই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নাম সাকিব আল হাসান; তাঁর শুরুটাও হয়েছিল একেবারে মন মতো। কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে ২০১১ সালে অভিষেক হয় এই তারকার। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং না পেলেও বল হাতে করেছেন চার ওভার উইকেট; ৩১ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন দুই উইকেট।

  • মুস্তাফিজুর রহমান

মুস্তাফিজুর রহমানও সাকিবের মতই বিদেশে লিগে উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে ২০১৬ সালে প্রথমবার দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামেন দ্য ফিজ। সেই ম্যাচেই এবি ডি ভিলিয়ার্স আর শেন ওয়াটসনের উইকেট তুলে নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন তিনি।

  • তাওহীদ হৃদয় 

লাল-সবুজের নতুন সেনসেশন তাওহীদ হৃদয় মুগ্ধ করে চলছেন ব্যাট হাতে; লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে জাফনা কিংসের হয়ে ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের জগতে পা রাখেন তিনি। প্রথম ম্যাচেই ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে অবদান রেখেছিলেন এই ডানহাতি। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে পেতে পারতেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কারও।

  • আফিফ হোসেন

তাওহীদ হৃদয়ের সৌভাগ্যবান বলতে হয় আফিফ হোসেনকে। তিনিও জাফনা কিংসকে দিয়েই শুরু করেছিলেন ক্যারিয়ারের নতুন এক দিক। আর অভিষেক ম্যাচেই ৩৫ বলে ৫৪ রানের ক্যামিও খেলে জিতে নিয়েছিলেন প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের স্বীকৃত। বিদেশি লিগে অভিষেকেই ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পাওয়া প্রথম বাংলাদেশীও এই বাঁ-হাতি।

  • মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ 

গত কয়েক বছর টি-টোয়েন্টি লিগে দেখা না গেলেও ২০১১ সালে এসএলপিএল দিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি ক্যারিয়ার দারুণভাবে শুরু করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ক্যান্ডি ওয়ারিয়র্সের জার্সিতে ৭ বলে ১৩ রান করার পাশাপাশি বল হাতে দুই ওভারে খরচ করেছিলেন মাত্র নয় রান। সেই সাথে তুলে নিয়েছেন এক উইকেট।

এছাড়া আল আমিন হোসেনও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছিলেন অভিষেক ম্যাচে। ২০২১ সালে এলপিএলে ক্যান্ডি ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলতে নেমে চার ওভার হাত ঘুরিয়ে শিকার করেছেন দুই উইকেট, বিনিময়ে খরচ করেছেন ৩৬ রান।

অবশ্য বিদেশি লিগে শুরুর ম্যাচেই হতাশ করেছেন তামিম ইকবাল, মাশরাফি মর্তুজা, আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুলের মত তারকারা। এছাড়া প্রতিভার প্রমাণ দিতে পারেননি সাব্বির রহমান, লিটন দাস।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...