আনকনভেনশনাল বোলিং স্টাইল, তারপরও কি দারুণ কন্ট্রোল। এক কথায় যাকে ক্রিকেট বিশ্ব ডাকে জাসপ্রিত বুমরাহ নামে। আর স্ট্যাম্প ছত্রখানের আওয়াজের সাথে তাঁকে নিয়ে তো হাজারো রোম্যান্টিক কাব্যই লেখা যায়।
তবুও তাঁকে নিয়ে নিন্দা হয়। তা তো হবেই। লেগো কা কাম হ্যায় ক্যাহনা। বলে, বিশ্বকাপ এলেই নাকি ইনজুরিতে পড়েন হার্দিক, আবার সেরে ওঠেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আগে।
এই নিন্দা কি আদৌ প্রাপ্য বুমরাহর? হ্যাঁ, বুমবুম বুমরাহ স্ট্রেস ইনজুরির জন্য গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা খেলতে পারেননি। তাঁকে হারিয়ে ধুকেছে ভারত। আরেকবার ব্যর্থ হয়েছে আইসিসি ইভেন্টে।
আবার এটাও ঠিক যে, ২০২৩ সালে মোহাম্মদ শামি, মোহাম্মদ সিরাজের পাশে এই জাসপ্রিত বুমরাহ ছিলেন বলেই ভারত খেলতে পেরেছিল বিশ্বকাপের ফাইনালে। অনেক দিন ধরে ছুতে না পারা বিশ্বকাপ ট্রফির একদম কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বুমরাহদের সৌজন্যে।
সেই অর্জনের গৌরব আছে, আছে আক্ষেপ। একটু এদিক সেদিক হলেই হয়তে আহমেদাবাদের সেই রাতে জিততে পারত ভারত। সেদিন ট্রাভিস হেড, প্যাট কামিন্সরা কেড়ে নিয়েছিল ভারতের মুখের গ্রাস।
নিশ্চয়ই সেই রাতের কথা ভুলবেন না বুমরাহ। নিজেকে প্রস্তুত করেছেন নিজের মত করে। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ব্যর্থ হলেও বুমরাহ বোলিং দিয়ে মন জিতে নিয়েছেন সবার।
কিন্তু, স্রেফ মন জিতে কি আর বুমরাহ’র মন ভরে। বুমরাহর লক্ষ্য তাই এবার আবারও বিশ্বকাপ। আর সেই লক্ষ্যে প্রথম দফাতে তাঁর আগুনে পুড়ে ছাই হল আইরিশরা।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ওভার বোলিং করে রান দিলেন মাত্র ছয়টি। সাথে দু’টি উইকেট। পারফেক্ট বোলিং ফিগার। কিন্তু, বুমরাহর চাই আরও বেশি পারফেকশন, আর বিরাট শ্রেষ্ঠত্ব। আর সেটা আসবে কেবল বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নেওয়ার মধ্য দিয়ে।