নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের কথা বোধহয় কোন বাংলাদেশির ভোলার কথা নয়। হাতের মুঠো থেকে সেদিন শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন একজন দীনেশ কার্তিক। স্রেফ আট বলে ২৯ রানের একটা ক্যামিও খেলেছিলেন তিনি, তাতেই জয় হাতছাড়া হয়েছিল বাংলাদেশের। তখন লাল-সবুজের ভক্তদের কেমন লেগেছিল সেটা বোধহয় এবার অনুভব করতে পারছে পাঞ্জাবের সমর্থকেরা।
কেননা, ১০ বলে ২৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে পাঞ্জাবকে দু:স্বপ্ন উপহার দিয়েছেন এই উইকেটকিপার। তিনটি চারের সাথে দুইটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে এমন ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। তাতেই চার বল হাতে রেখে রোমাঞ্চকর একটা ম্যাচ শেষে তৃপ্তির হাসি হাসতে পেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে সেসময় জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল শিখর ধাওয়ানের দল। তখনো নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে ৪৭ রান দূরে ছিল ব্যাঙ্গালুরু, হাতে ছিল কেবল চার ওভার।
সতেরোতম ওভারে এগারো রান আসলে সমীকরণ আরো কঠিন হয়ে পড়ে, শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৬ রান। এরপরই নড়েচড়ে বসেন কার্তিক, পর পর দুই ওভারে তেরো রান আদায় করেন। ফলে বিশতম ওভারে আর দশ রান দরকার ছিল জয়ের জন্য।
তবে অপেক্ষা করার ধৈর্য ছিল না তাঁর, তাই তো প্রথম বলে ছক্কা আর দ্বিতীয় বলে চার হাঁকিয়ে সব আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে এবারের আইপিএলে নিজেদের পয়েন্টের খাতা খুলতে পারলো ডু প্লেসিসের দল।
অবশ্য মাহিপাল লমররের কথা আলাদাভাবে বলতে হয়। ৮ বলে ১৭ রান করে তিনিও দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। দীনেশ কার্তিক যদি হন ডেথ ওভার নাটকের নায়ক তাহলে নি:সন্দেহে সহ নায়ক বলতে হবে এই তরুণকে।