বাংলাদেশের নতুন বোলিং কোচ হিসেবে সাবেক কিউই অলরাউন্ডার আন্দ্রে অ্যাডামসকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনে বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০০৪ সালে। ফলে বলা যায়, এই আন্দ্রে অ্যাডামসের কাছে বঙ্গদেশের মাটি মোটেই নতুন কিছু নয়।
এমনকি, ২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম আসরে তিনি খেলেছিলেন খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের হয়ে। যে আসরে আবার খুলনাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
অর্থাৎ ১২ বছর বাদে এক সময়কার ‘সতীর্থ’ পরিচয়ের রূপান্তর ঘটতে যাচ্ছে গুরু-শিষ্য রূপে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখনও ধ্রুব চরিত্র সাকিব। আর সেই দলেরই বোলিং কোচ হিসেবে আগমন ঘটতে যাচ্ছে আন্দ্রে অ্যাডামসের। অবশ্য কিউই এ অলরাউন্ডারের বাংলাদেশের মাটিতে আগের স্মৃতি মোটেই সুখকর ছিল না।
খুলনার হয়ে সেবার মোটে ৩ ম্যাচ সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যাডামস। কিন্তু তিন ম্যাচ মাঠে নেমে একটি উইকেট নিয়েও তিনি মাঠ ছাড়তে পারেননি। সব মিলিয়ে আট ওভার বোলিং করে ৭০ রান দিয়ে সে আসরে থেকে ছিলেন উইকেটশূন্য৷ আর ব্যাট হাতে এক ইনিংস সুযোগ পেয়ে করেছিলেন ৪ রান। সে আসরে সব মিলিয়ে অ্যাডামসের প্রাপ্তি ছিল বলতে শুধু একটি ক্যাচ নেওয়া। এ ছাড়া টুর্নামেন্টের সিংহভাগ সময়েই বেঞ্চেই কাটাতে হয় তাঁকে।
তবে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে একটা ‘প্রথম’- এর কীর্তিতে আবার জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের অভিষেক একাদশের একজন তিনি। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেভাবে নিজেকে রাঙাতে পারেননি। খেলোয়াড়ি জীবনের পাঠ চুকিয়ে কোচিংয়েই মনোনিবেশ করেন সাবেক এ কিউই ক্রিকেটার।
আন্দ্রে অ্যাডামস সেভাবে ‘বড়’ কোনো নাম নন বটে। তবে ২০২৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময় কিউইদের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বোলিং কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন কিছুটা সময়। এ ছাড়া বিগ ব্যাশের দল সিডনি সিক্সার্সেরও কোচিং স্টাফেও ছিলেন তিনি।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে ফলপ্রসু ব্যাপার হতে পারে প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের সাথে অ্যাডামসের পুরোনো বোঝাপড়া। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া দল নিউ সাউথ ওয়েলসে প্রায় দীর্ঘ পাঁচ বছর বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন অ্যাডামস। যে দলের কোচিং স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হাতুরুও।
বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ও পরে দুই সময়েই নিউ সাউথ ওয়েলসের ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন হাতুরু। তাই দীর্ঘ সময়কালে সহকর্মী হিসেবে পাওয়ায় অ্যাডামস-হাতুরুর বোঝাপড়াটা বেশ পুরোনো। এমন কিছু হলে সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিতই বহন করে।