ঢাকা শহরে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং নিয়ে কমবেশি সকলেই হয়ত অতিষ্ঠ। কিন্তু চাইলেই যে সে পার্কিং ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল করা যায় তা কারও অজানা নয়। আবার সেই পার্কিং ব্যবস্থাকে পুঁজি করে আয়ের আরও একটি উৎস সৃষ্টি করা যায়, সেটাও নিশ্চয়ই নতুন নয়। সেই পুরাতন কায়দায় হেটে আইসিসি এবার সৃষ্টি করতে চলেছে সংযোজিত আয়ের উৎস। অর্থকড়ি কম আসবে না কিন্তু!
হাতে সময় আর খুব বেশি বাকি নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অপেক্ষা যেন প্রায় শেষের পথে। সবাই প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। যারা মাঠে বসে খেলা দেখবে বলে ঠিক করে নিয়েছিল, তারা পছন্দসই টিকিট ইতোমধ্যেই কিনে ফেলেছে। টিকিটের দাম নেহায়েত কম নয়। তবুও স্টেডিয়াম খালি থাকবে বলে মনে হওয়ার নেই কোন উপায়।
তবে বিপত্তি বাঁধতে চলেছে পার্কিং টিকিটের দাম নিয়ে। উদাহরণ হিসেবে টেনে নিয়ে আসা যাক নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে। নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সেই স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ৩৪ হাজার দর্শক।
স্বাভাবিকভাবেই এই ৩৪ হাজার মানুষের অধিকাংশই খেলা দেখতে আসবেন দূর-দূরান্ত থেকে। আর সে জন্য ব্যক্তিগত যানবাহন ব্যবহার করবেন অনেকেই। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন আইসিসি। তারা ম্যাচের টিকিট বিক্রির সাথে সাথে পার্কিং টিকিটও বিক্রি শুরু করে দিয়েছে ইতোমধ্যে।
প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের একটি জায়গায় পার্কিংয়ের জন্য ধার্য করা হয়েছে ৪০ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। অন্যদিকে, স্টেডিয়াম থেকে এক কিলোমিটার দূরের আরেকটি স্থানে গাড়ি রাখা যাবে। সেজন্য দর্শকদের গুণতে হবে ১৫০ ডলার। টাকার হিসেবে সংখ্যাটা প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার টাকা।
অর্থাৎ একটি ম্যাচ উপভোগ করতে চাওয়া দর্শকদের পকেটে টান পড়া যেন অবধারিত। সাধারণ গ্যালারির সর্বনিম্ন টিকিট মূল্য ৭০ ডলার। ১০ জুন অনুষ্ঠিতব্য দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচের সেই টিকিট ইতোমধ্যেই শেষ। অতএব যে দর্শকরা দেরী করে ফেলেছে তাদের খরচ বেড়ে দাঁড়াবে কয়েকগুণ। সেসবে অবশ্য ভ্রুক্ষেপ নেই আইসিসির।
দর্শকদের উন্মাদনার কথা, দর্শকদের জন্য আরও বেশি উপভোগ্য করে তোলার চাইতেও আইসিসির মনোযোগ আর্থিক ফায়দা হাসিলের দিকে। বিনোদিত হতে চাইলে খরচ তো করতেই হবে। হোক তা বাড়াবাড়ি।