Social Media

Light
Dark

ফিরে আসা আইপিএল তারকারা

ক্রিকেট মাঠ সবাইকেই দ্বিতীয় সুযোগ দেয়। কেউ সুযোগটা দুহাত ভরে গ্রহণ করে, কেউবা অবহেলায় হারিয়ে যায় বিস্মৃতির আড়ালে। আসুন দেখে নেয়া যাক এবারের মৌসুমে ফিরে আসা পাঁচ ক্রিকেটারকে যারা একপ্রকার হারিয়েই গিয়েছিলেন আইপিএলের মঞ্চ থেকে।

  • আজিঙ্কা রাহানে (চেন্নাই সুপার কিংস)

অতীতে টি টোয়েটিতে ধীরগতির ব্যাটিংয়ের জন্য সমালোচিত হয়েছেন আজিঙ্কা রাহানে। সীমিত ওভার নয়, বরং লাল বলের ক্রিকেটার হিসেবেই ভাবা হতো তাঁকে। কিন্তু এবারের আইপিএলে যেন নিজেকে নতুন রূপে জানান দিচ্ছেন রাহানে। পাওয়ার প্লে’তে তাঁর ২২২ স্ট্রাইকরেট কমপক্ষে ১০০ রান করাদের মাঝে সর্বোচ্চ। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে গত মৌসুমটা মোটেই ভালো কাটেনি রাহানের।

সাত ম্যাচে ১৯ গড় এবং ১০৩ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন মাত্র ১৩৩ রান। এবারের মৌসুমে তাই মাত্র ৫০ লাখ রুপির বিনিময়ে তাঁকে দলে ভেড়ায় চেন্নাই সুপার কিংস। শুরুতে একাদশে জায়গা না পেলেও মঈন আলীর ইনজুরিতে পাওয়া সুযোগটা হেলায় হারাননি। টপ অর্ডারে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দিচ্ছেন উড়ন্ত সূচনা।

  • সন্দ্বীপ শর্মা (রাজস্থান রয়্যালস)

টানা নয় মৌসুম আইপিএল খেলার পর এবারের নিলামে অবিক্রীত ছিলেন পেসার সন্দ্বীপ শর্মা। কিন্তু ইনজুরির কারণে প্রসিধ কৃষ্ণা ছিটকে গেলে তাঁকে স্কোয়াডে ডাকে রাজস্থান রয়্যালস। ভাগ্যের জোরে পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বর্তমানে রয়্যালসের নির্ভরযোগ্য বোলার তিনি।

চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে শেষ ওভারে বল করতে এসে টানা ইয়র্কারে ম্যাচ জিতিয়েছেন দলকে। সেদিন ক্রিজে ধোনি এবং জাদেজা থাকলেও সন্দ্বীপের ইয়র্কারের সামনে অসহায় লেগেছে তাঁদেরকে। এছাড়া গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে শুভমান গিল এবং ডেভিড মিলারের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন এই পেসার।

  • পিযুষ চাওলা (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স)

২০২৩ আইপিএল নিলামে অবিক্রীত থাকার পর এবারের আইপিএল নিলামে সর্বশেষ খেলোয়াড় হিসেবে পিযুষ চাওলাকে দলে ভেড়ায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মাত্র ৫০ লাখ রুপির বিনিময়ে দলে ভেড়ানো চাওলাই এখন মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ইকোনমি রেটটাও ঈর্ষণীয়, মাত্র ৭.১৫!


দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২২ রানে তিন উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্ট শুরু চাওলার। এরপর ফর্মটা ধরে রেখেছেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষেও, তুলে নেন অভিষেক শর্মা এবং হেনরিখ ক্লাসেনের গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট।

  • অমিত মিশ্র (লখনৌ সুপার জায়ান্টস)

আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সেরা বোলার অমিত মিশ্রর গল্পটাও পিযুষ চাওলার মতোই। ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় যেন লেগস্পিনার ভেলকিতে সবাইকে চমকে দিচ্ছেন এই তারকা। আইপিএল নিলামের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার, ৪০ বছর বয়সী মিশ্রকে ৫০ লাখ রুপির বিনিময়ে দলে ভেড়ায় লখনৌ সুপার জায়ান্টস।

নিজের প্রথম ম্যাচেই হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে মাত্র ২৩ রানে শিকার করেন দুই উইকেট। এরপর থেকে প্রতি ম্যাচেই তাঁকে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন লোকেশ রাহুল।

  • মোহিত শর্মা (গুজরাট টাইটান্স)

এক সময়ে আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মোহিত শর্মা গত কয়েক বছরে হারিয়েই গিয়েছিলেন দৃশ্যপট থেকে। ক্রমাগত ইনজুরিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেটের আশায় ছেড়ে দিয়েছিলেন একপ্রকার। কিন্তু গুজরাট টাইটান্স কোচ আশিষ নেহরা নেটে তাঁর বোলিং দেখে সিদ্ধান্ত নেন দলে ভেড়ানোর। মাত্র ৫০ লাখ রুপিতে টাইটান্স স্কোয়াডে যোগ দেন মোহিত। এরপরই বাজিমাত!

শিভাম মাভি, ইয়াশ দয়াল কিংবা সাই কিশোরের বদলে তাঁকেই একাদশে জায়গা করে দেয় গুজরাট ম্যানেজমেন্ট।
প্রথম ম্যাচেই পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মাত্র ১৮ রানে দুই উইকেট শিকার করে ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখেন এই পেসার। তাঁর অফ কাটার কিংবা স্লোয়ারের কোনো জবাব ছিল না প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link