২৬ বছর বয়সী গুরজাপনিত সিংকে দলে ভিড়িয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। ৬ ফিট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার এই পেসারের জন্ম পাঞ্জাবে হলেও বেড়ে উঠেছেন হরিয়ানাতে। পরবর্তীতে ক্রিকেটোর হবার স্বপ্ন পূরণ করতে চলে আসেন চেন্নাইয়ে।
গতি, দুইদিকে সুইং করানোর ক্ষমতা, নির্ভুল লাইন লেন্থ- সবই যেন তাঁর নখদর্পনে। উত্থানটা রঞ্জি ট্রফি দিয়েই। অভিষেক ম্যাচেই শক্তিশালী সৌরাষ্ট্রের বিপক্ষে নেন ২২ রানে ছয় উইকেট। ঘরের মাঠে ২০০৫-০৬ সালের পর তামিলনাড়ুর কোন বোলার হিসাবে সেটিই ছিল রঞ্জিতে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স।
টেস্ট স্পেশালিষ্ট পূজারাকেও এদিন তিনি ফিরেয়েছিলেন শূন্য রানেই। রঞ্জিতে চার ম্যাচে নেন ১৩ উইকেট। শুরুতে প্রতিপক্ষের টপ অর্ডার গুড়িয়ে দেওয়া বা চাপের মূহুর্তে ব্রেকথ্রু দেওয়া যেন তার বা হাতের খেলা।
দারুণ প্রতিভাবান এই পেসারকে নজরে রেখেছিল আইপিএলের দলগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় চেন্নাই সুপার কিংসের নেটে বল করার সুযোগ পান তিনি। পাওয়ার প্লে, ডেথ ওভার দু’জায়গাতেই সুনিপুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি ঘরোয়া সার্কিটে। তাতেই তার যায়গা হয়ে যায় আইপিএল ২০২৫ এর মেগা নিলামে।
৩০ লাখ ভিত্তিমূলের গুরজাপনীতের জন্য রীতিমতো কাড়াকাড়িই লাগে গুজরাট টাইটান্স আর চেন্নাইয়ের মধ্যে। শেষ অবধি দুই কোটি ২০ লাখ রুপিতে চেন্নাইয়ের ডেরায় যোগ দেন তিনি। ডিন্ডিগুল ড্রাগন্সের হয়ে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে (টিএনপিএল) খেলার সময় রবীচন্দ্রন অশ্বিন ছাড়াও নেটে পেয়েছেন বিরাট কোহলিদের পরামর্শও।
থাঙ্গারাসু নটরাজন ইনজুরিতে পড়লে রঞ্জি ট্রফিতে তার অভাব ও পূরণ করেছেন তিনি। তাঁর হাতে যেন এক ঝলক বিদ্যুৎের ক্ষিপ্রতা, বল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিপক্ষের উইকেটগুলো ধসে পড়ছে এক প্রবল ঝড়ে। তাঁর স্যুইং কখনও পথ হারানো পাখির মতো ডানে-বামে ছুটে যায়, আবার কখনও শিকারীর নিশানার মতো সরাসরি উইকেট ভেদ করে।
নতুন বলে তার গতি, সুইং যেকোনো দলের জন্য দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়াবে। ধারাবাহিকতা ও সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বনে যেতে পারেন ভারতের নেক্সট স্পিডস্টার। সে প্রত্যাশা থেকেই আইপিএলের অন্যতম সফল দল তাকে নিজেদের করে নিয়েছে।