দ্য টেইল এন্ডার ব্যাটিং টেমপ্লেট

টেল এন্ডারদের নিয়ে কিভাবে ব্যাট করতে হয় - সেটা দেখিয়ে দিয়ে গেলেন লিটন দাস। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেলেন হাসান মাহমুদ। আর এই জুটিতেই বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে এখন পর্যন্ত রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাল্লা দিয়ে রান করার সামর্থ্য রাখছে।

টেল এন্ডারদের নিয়ে কিভাবে ব্যাট করতে হয় – সেটা দেখিয়ে দিয়ে গেলেন লিটন দাস। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেলেন হাসান মাহমুদ। আর এই জুটিতেই বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে এখন পর্যন্ত রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাল্লা দিয়ে রান করার সামর্থ্য রাখছে।

১৯৩ রানে বাংলাদেশ নিজেদের অষ্টম উইকেট হারায়। তখনও পাকিস্তানের চেয়ে ৮৩ রান পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ব্যবধানটা বাংলাদেশ ১২-তে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় এই জুটির কল্যানে।

নবম উইকেটে এই দুই ব্যাটার মিলে যোগ করেন ৭১ রান। বলের হিসেবে এই জুটি ১৪৯ বলের। নবম কিংবা দশম উইকেট জুটিতে এত লম্বা সময় এর আগে বাংলাদেশি ব্যাটাররা টিকে ছিল মোটে চার বার। এই তথ্যতেই বোঝা যায় এই জুটি কতটা জরুরী ছিল বাংলাদেশের।

এক তরফা ভাবে পুরোটা সময় জুড়েই লিটন একাই বাংলাদেশের ব্যাটিং আগলে রেখেছেন। ৭১ রানের মধ্যে হাসান মাহমুদের অবদান মাত্র ১৩ রান। বাকিটা সময় বাংলাদেশের পতাকা ব্যাট হাতে উড়িয়ে যান লিটন দাস।

এই ৭১ রানের জুটি বাংলাদেশের তো বটেই, লেজের ব্যাটিংয়ের জন্য বিশ্বজুড়েই একটা আদর্শ হতে পারে। দরকার না পড়লে হাসানকে লিটন একদমই স্ট্রাইক দেননি। প্রতিটা ওভারের চতুর্থ বা পঞ্চম ডেলিভারিতে তিনি সিঙ্গেল নিয়েছেন, বাকি সময়টা সামলে নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।

হাসান তাঁর ১৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি ৫১ টি ডেলিভারি। একটা চারও হাঁকান। টেস্টে এর আগে যার সর্বোচ্চ স্কোর ছয় রান, তাঁর কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স অভাবনীয়ই ছিল। আর তাঁর জন্য অভাবনীয় এই ইনিংস খেলাটা সহজ করে দিয়েছেন আদতে লিটন দাসই।

শেষ বিকালে এই লিটনকেই চাইলে অনুসরণ করতে পারতেন সায়িম আইয়ুব। কিন্তু, সেটা না করে তিনি বিপদে ঠেলে দেন ‘নাইটওয়াচম্যান’ খুররাম শেহজাদকে। আর তাতেই পতনের মুখে পড়ে পাকিস্তান দল।

Share via
Copy link