মাত্র ২৩০ রানের টার্গেট দ্বিতীয় ইনিংসে তাই স্কোরবোর্ডের চাপটা কমই; আবার শিশিরও আছে – ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ড তাই ব্যাটিংয়ে নামার আগে কিছুটা আশার আলো দেখতে পেয়েছিল। কিন্তু এরপর! তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ, গুটিয়ে গিয়েছে ১২৯ রানেই।
শিশির বাধা পিছনে সরিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা আর কুলদীপ যাদব। জস বাটলারকে আউট করা কুলদীপের সেই ডেলিভারি এখনো চোখে লেগে থাকার কথা। পুরো ইনিংসে একটাও বাজে বল দেননি তাঁরা; একবারের জন্যও চাপ থেকে মুক্তি পায়নি মঈন, লিভিংস্টোনরা।
তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের মেরুদণ্ড ভেঙেছে ভারতীয় পেসাররা। নতুন বলে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে দলটির টপ অর্ডার, আর শেষদিকে লোয়ার অর্ডারের প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দিয়েছে নির্দয়ভাবে। মোহাম্মদ শামি একাই নিয়েছেন চারটা উইকেট, জাসপ্রিত বুমরাহও কম যাননি, তাঁর শিকার তিনখানা।
শুরুটা করেছিলেন বুমরাহ, বারবার বোকা বানানোর পর উড়িয়ে দিয়েছেন ডেভিড মালানের স্ট্যাম্প। পরের বলেই এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন জো রুটকে। তৃতীয় বোলার হিসেবে শামি বোলিংয়ে এসে শুধু বেন স্টোকসের স্ট্যাম্পই ভাঙেননি, ব্রিটিশ দম্ভকেও চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়েছেন। পরের বলে আবার বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে জয়ের সম্ভাবনা একেবারে শেষ করে দেন তিনি।
তারপর আরকি, বাটলারকে বুড়ো আঙুল দেখান কুলদীপ আর শামির বলে মঈন আলী বাধ্য হন কিপারের হাতে ক্যাচ দিতে। জাদেজা স্কোরবোর্ডে নিজের নাম তোলেন ক্রিস ওকসকে আউট করে।
ভারতের পেসাররা যখন বল করছিল তখন বাউন্স ছিল, মুভমেন্ট ছিল; তখন মনে হয়েছে পিচ বুঝি পেস বান্ধব। আবার স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই দেখা গিয়েছে ভিন্ন চিত্র; দুর্দান্ত সব টার্ন আদায় করে নিয়েছেন জাদেজারা। সেজন্যই রীতিমতো বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিল বাটলারের দল।
তবে শুরুটা কিন্তু ভারতেরও এমন হয়েছে। ৪০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তাঁরাও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল; কিন্তু অধিনায়ক রোহিত শর্মার দায়িত্বশীল ৮৭ রানের ইনিংস আর লোকেশ রাহুল, সুরিয়াকুমার যাদবদের ছোট ছোট অবদানে দলীয় রান ২০০ পার করতে পেরেছে স্বাগতিকরা।
ইংল্যান্ডের আসলে কেউ রোহিত হতে পারেননি; এমনকি রাহুল কিংবা সুরিয়া হওয়ার মত দৃঢ়তাও কেউ দেখাতে পারেননি। টানা পরাজয়ে বিধ্বস্ত দলটি ভারতের সাঁড়াশি আক্রমণে অসহায় আত্মসমর্পণই করেছে বলতে গেলে।