দ্বিতীয় ম্যাচের পুনঃপ্রচার যেন, রানের খাতা খোলার আগেই আউট ওপেনার সঞ্জু স্যামসন। দর্শকদের মনে নির্ঘাত আগের ম্যাচের স্মৃতি ভেসে উঠেছিল। তবে তিলক ভার্মা সেই স্মৃতি মুছে দিয়ে সৃষ্টি করলেন বিস্ময়ের। উইকেটে নেমে প্রথম বলটা ডিফেন্ড করলেন, এরপরই টানা দুই বলে চার ও ছক্কা। তখনই বোঝা গিয়েছিল তিনি দারুণ কিছু করতে যাচ্ছেন।
আসলেই করেছেন, হাঁকিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় ইনিংসের মেরুদণ্ড হয়েছিলেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে তবেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন তিনি, ততক্ষণে তাঁর নামের পাশে জমা হয়েছিল ৫৬ বলে ১০৭ রান।
কেবল দুর্ধর্ষ ব্যাটিংটাই করেননি এই বাঁ-হাতি, দারুণ গেম সেন্সের প্রমাণও দিয়েছেন। একপ্রান্তে অভিষেক শর্মা যখন ঝড় তুলেছিলেন তখন তিনি স্ট্রাইক রোটেট করে খেলার চেষ্টা করেছেন। তারপর আবার ব্যাটিং ধ্বস নামলে নিজেই একপ্রান্ত আগলে ধরে রেখেছিলেন।
বাকিটা তো সবারই জানা, রিংকু সিংকে দর্শক বানিয়ে অতিমানব হয়ে উঠেছিলেন তিলক। একাই তাণ্ডব চালিয়েছিলেন তিনি, ৫৮ রানের জুটিতে তাঁর ব্যাট থেকেই এসেছে ৪৫ রান। একের পর এক বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে প্রোটিয়াদের কাঁপিয়ে দিয়েছেন।
এই তরুণের প্লেয়িং স্টাইলে যুবরাজ সিংয়ের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। মিডল অর্ডার ব্যাটার, অফ স্পিনটাও ভালোই জানেন; তাই তো লাইমলাইটে আসার পর থেকেই প্রত্যাশার চাপ টের পেয়েছিলেন তিনি। যুবরাজ পরবর্তী সময়ে যে অভাব টিম ইন্ডিয়া অনুভব করেছে সেই অভাব পূরণের দায়ভার তাঁর কাঁধেই উঠেছিল।
এখন বোধহয় সেই দায়িত্বই পালন করে চলছেন এই তারকা, হয়ে উঠেছেন নির্ভরযোগ্য। ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়, নিজের দল যতবারই খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিল ততবারই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সবসময় হয়তো পারেন না, তবে চলতি সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টির মত অধিকাংশ সময়ই সফল হন – আর সেদিন প্রতিপক্ষকে একেবারে দুমরে-মুচড়ে দেন।