ট্রাভিস হেড, নীল বিপ্লবের বিপরীতে বুনো অজি গর্জন

ইংল্যান্ডের সাথে এই তারকার শত্রুতা অবশ্য বহু পুরনো। ইংলিশদের বিপক্ষে এর আগের সাত ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি এবং চার ফিফটির সাহায্যে ৪৫২ রান করেছেন! এসময় তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল প্রায় ৬৫!

লাল রং দেখলেই নাকি ষাঁড় রেগে যায়, কথাটা সত্যি কি না জানি না তবে নীল রঙ দেখলে ট্রাভিস হেড যে রেগে যান সেটা সত্যি। তাই তো নীল রঙা জার্সি পরে তাঁর মুখোমুখি হলে আপনাকে তাণ্ডব সইতে হবেই। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) কিংবা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ – যখন যেখানে নীল রঙের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন তিনি, প্রতিবারই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছেন; সবশেষ তাঁর ঝড়ে উড়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড।

এদিন ১২৯ বলে ১৫৪ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেছেন এই বাঁ-হাতি। ২০টি চার এবং পাঁচটি বিশাল ছক্কার মারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। তাঁর অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ভর করেই সাত উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ইংলিশদের ছুঁড়ে দেয়া ৩১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এই ওপেনার শুরুতে একটু নড়বড়ে ছিলেন বটে। একাধিকবার পরাস্তও হয়েছেন, ভাগ্য তাঁকে খানিকটা সাহায্য করেছিল। তবে সেট হয়ে যাওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে, ওপেনিংয়ের সঙ্গী মিচেল মার্শ দ্রুত বিদায় নিলেও তাঁর ব্যাটের গতি কমেনি।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ৭৬ রান এবং স্মিথের বিদায়ের পর ক্যামেরন গ্রিনের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন হেড। দুইটি জুটিতেই তাঁর অবদান ছিল সিংহভাগ, আর এতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে অজিদের হাতে – ত্রিশতম ওভারে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। শেষমেশ অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন।

ইংল্যান্ডের সাথে এই তারকার শত্রুতা অবশ্য বহু পুরনো। ইংলিশদের বিপক্ষে এর আগের সাত ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি এবং চার ফিফটির সাহায্যে ৪৫২ রান করেছেন! এসময় তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল প্রায় ৬৫!

অর্থাৎ ম্যাচের আগেই স্বাগতিকরা জানতেন তাঁদের সবচেয়ে গুরুত্ব ঠিক কার ওপর দিতে হবে। তবে পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস হলেও উত্তর লিখতে পারলেন না জোফ্রা আর্চাররা, এখন দেখার বিষয়, সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে তাঁরা সেই কাজটা ঠিকঠাক করতে পারে কি না।

Share via
Copy link