সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস। তবে এবার দ্বিতীয় ইনিংসে এসে কিউই এ ক্রিকেটার খবরের শিরোনাম হলেন ভিন্ন একটি কারণে। বোলিংয়ের সময় বলে লালা মাখিয়ে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন এ পার্টটাইম স্পিনার। তবে সবটাই হয়েছে আম্পায়ারের চোখ ফাঁকি দিয়ে। ফলত, কোনো শাস্তির মুখেই পড়তে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের তখন ৩৪তম ওভারের খেলা চলছে। সেই ওভারের তৃতীয় বল করার আগে বলে লালা মাখাতে দেখা যায় গ্লেন ফিলিপসকে। তবে এই কাজ তিনি একবার করে ক্ষান্ত থাকেননি, ঐ ওভারেই দুইবার একই ঘটনা ঘটান তিনি। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, সিলেট টেস্টে থাকা অনফিল্ড দুই আম্পায়ার আহসান রাজা ও পল রাইফেল এ নিয়ে নিউজিল্যান্ড দলকে কোনো শাস্তিই দেননি।
অথচ এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৫ রান জরিমানা হতে পারতো। ক্রিকেটের আইনবিধি অন্তত সেটিই বলছে। কোভিডের পর থেকে নতুন আইনবিধির ৪৩.১ ধারায় লেখা আছে, ক্রিকেট বলে লালা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। যেটি ২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এমতাবস্থায় আম্পায়ার চাইলে শাস্তি হিসেবে ফিল্ডিং দলকে ৫ রান জরিমানা করতে পারে। এর পাশাপাশি বল পাল্টে ফেলতে পারেন। তবে এ দুটির কোনোটিই করেননি এ দুই আম্পায়ার।
এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেপালের ওয়ানডে ম্যাচে বলে লালা ব্যবহার করেছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বোলার আলিশান শারাফু। আর এমন কাণ্ডে শাস্তি হিসেবে নেপালের স্কোরকার্ডে ৫ রান যোগ করা হয়।