হেইডেন-ল্যাঙ্গার: অন্যরকম রিইউনিয়ন

টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আগামিকাল মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। এই লড়াইয়ের মাঝেও আছে ভিন্ন এক লড়াই। পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে আছেন সাবেক অজি ওপেনার ম্যাথু হেইডেন। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ার কোচ সাবেক ওপেনার জাস্টিন ল্যাঙ্গার। দু’জনেরই বয়স পঞ্চাশের কোঠায়। এক সময় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনিংয়ে রানের ফোয়ারা ছুঁটিয়েছেন সাবেক এই দুই ওপেনার।

২০০১ সালে ওভালে প্রথমবার দু’জনে ওপেনিংয়ে খেলে অজিদের জন্য। এরপর প্রায় ছয়বছর একসাথে ২২ গজ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন দু’জনে। দু’জনে মিলে ওপেনিংয়ে গড়েছেন ৫৬৫৫ রান। ৬ বার ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন এই দু’জনে মিলে।

প্রায় ৫২ গড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রান করেছেন এই জুটি। দু’জনেই ক্যারিয়ারে খেলেছেন একশোর বেশি টেস্ট। সাদা পোশাকে হেইডেনের ঝুলিতে ৮৬২৫ ও ল্যাঙ্গারের আছে ৭৬৯৬ রান।

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার লড়াইয়ে ২৪ ঘন্টারও কম সময় বেশি। আর এই সময়টাকে সাবেক অজি ওপেনার ম্যাথু হেইডেন জানালেন মানসিক সহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি হৃদয়ের চ্যালেঞ্জ, মানসিকতার চ্যালেঞ্জ এসবই আগামি ২৪ ঘন্টা বড় ব্যাপার। আমি গর্বিত বোধ করছি পাকিস্তান ক্রিকেটের অংশ হতে পেরে। আমাদের বেশ কিছু অসাধারণ তরুন ক্রিকেটার আছে। বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও আছে। যারা অসাধারণ পারফরম করছে।’

জাস্টিন ল্যাঙ্গারের ঝুলিতে বড় কোনো সাফল্য নেই। হেইডেনও আছেন একই পথে। তবে অকপটে বলে দিলেন সেরা এগারোই যাবে ফাইনালে। তিনি বলেন, ‘জাস্টিন ল্যাঙ্গার আর আমি প্রায় একই পজিশনে আছি। জাতীয় দলের কোচ কিংবা ব্যাটিং কোচ হিসেবে বড় কিছু অর্জন করিনি। যে ১১ জন ভালো খেলবে তারাই জিতবে, আমরা শুধু পেছনে থাকি আর কি।’

পাকিস্তানের হয়ে কোচিং করেয়েছিলেন প্রয়াত সাবেক অজি ক্রিকেটার ডিন জোন্স। জোন্সকে স্মরণ করে হেইডেন জানালেন, ‘ডিন আমার খুব কাছের ছিলো। তার শব্দ আমার কানে বাজে। ডিন পাকিস্তান ক্রিকেটের সাথে বেশ সম্পৃক্ত ছিলো। আশা করি সে শান্তিতে আছে। সে এই দলটাকে অন্য জায়গায় নিয়ে গেছে। যেটা শুধু এই জেনারেশন না পরের জেনারেশনেও সুবিধা পাবে। এই দলের সাথে আমি যদি কিছু যোগ করতে পারি সেটা আমার জন্য হবে অনেক সম্মানের।’

এবারের আসরে মূল পর্বে অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জয় পেলেও পাকিস্তান জিতেছে সবগুলোই। যদিও সেমির লড়াইয়ে পূর্বের পরিসংখ্যানটা প্রভাব ফেলবে না। মাঠের খেলায় যারা সেরাটা দিবে তারাই পা দিবে ফাইনালে।

হেইডেনের মত ল্যাঙ্গারও বলে রেখেছেন,  মাঠের খেলায় বন্ধুত্ব ভুলে যাবেন তিনি। এবার তাহলে এই দুই অজি কোচের লড়াইয়ে কে জিতে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link