ঝড়ের ‘মিশেলে’ ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পা দিলো নিউজিল্যান্ড। ড্যারেল মিশেল ও জেমস নিশামের দাপটে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় ব্ল্যাকক্যাপরা। ড্যারেল মিশেলের ৪৭ বলে করা অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসের সুবাদে ফাইনালের টিকেট পায় নিউজিল্যান্ড।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পা দিলো নিউজিল্যান্ড। ড্যারেল মিশেল ও জেমস নিশামের দাপটে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় ব্ল্যাকক্যাপরা। ড্যারেল মিশেলের ৪৭ বলে করা অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসের সুবাদে ফাইনালের টিকেট পায় নিউজিল্যান্ড।

১৬৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই মাত্র ৪ রানে বিদায় নেন মার্টিন গাপটিল। এরপর কেন উইলিয়ানসনও বিদায় নেন দ্রুতই। মাত্র ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ব্ল্যাকক্যাপরা। জোড়া উইকেট নিয়ে শুরুতেই নিউজিল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ক্রিস ওকস।

এরপর ডেভন কনওয়ে ও ড্যারেল মিশেলের ব্যাটে কচ্ছপ গতিতে এগোতে থাকে নিউজিল্যান্ড। বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরেও দাঁড়ায় তারা। তবে বলের সাথে ঠিক পাল্লা দিয়ে পেরে উঠছিলো না দুই ব্যাটার। ১০ ওভার শেষে স্কোর ছিলো ২ উইকেটে ৫৮ রান। শেষ ১০ ওভারে দরকার তখনো ১০৯ রান।

দু’জনে মিলে গড়েন ৮২ রানের অনবদ্য এক জুটি! এরপর লিভিংস্টোনের পর পর দুই ওভারে দুই উইকেট শিকারে ফিরেন কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপস। কনওয়ে ফেরেন ৩৮ বলে ৪৬ রানে। এরপর জিমি নিশাম একপ্রান্তে ঝড় তুলেন ব্যাট হাতে।

শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিলো ৩৪ রান। একপ্রান্তে দুর্দান্ত ফিফটি করেন ড্যারেল মিশেল। ১৮ তম ওভারের শেষ বলে নিশামকে তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে ইংলিশরা। নিশাম ফেরেন ১১ বলে ২৭ রানে।

১৯ তম ওভারে মিশেলের পর পর দুই ছক্কায় ম্যাচ আয়ত্তে আনে নিউজিল্যান্ড। ওই ওভারেই মিশেলের ব্যাটে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে ফাইনালে পা দেয় নিউজিল্যান্ড।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩৭ রান করে দুই ইংলিশ ওপেনার জশ বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো। এরপর দলীয় ৩৭ রানে বেয়ারস্টোকে হারায় ইংলিশরা। দ্বিতীয় উইকেটে ১৬ রানের জুটির পথে ব্যক্তিগত ২৪ বলে ২৯ রানে ইশ সোধির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন বাটলার।

৫৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের ঢাল হয়ে দাঁড়ান ডেভিড মালান ও মঈন আলি। দু’জনের ব্যাটে ভালোই এগোতে থাকে ইংলিশরা। তৃতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৬৩ রান!

দু’জনে ব্যাটে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোয় ইংলিশরা। দলীয় ১১৬ রানে টিম সাউদির শিকার হয়ে ৩০ বলে ৪১ রান করে ফেরেন মালান। একপ্রান্তে মঈন আলির ঝড়ে এগোতে থাকে ইংলিশরা; সাথে যোগ দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। চতুর্থ উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৪০ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত এক জুটি।

শেষ দিকে লিভিংস্টোন ফিরলেও মঈন আলির অপরাজিত ৩৭ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৫১ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৬ রান করে ইংলিশরা। দলের পক্ষে একমাত্র ফিফটি করেন মঈন। ব্ল্যাকক্যাপদের পক্ষে সাউদি, মিলনে, নিশাম, সোধিরা শিকার করেন একটি করে উইকেট।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

ইংল্যান্ড – ১৬৬/৪ (২০ ওভার); মঈন ৫১* (৩৭)*, মালান ৪১ (৩০), বাটলার ২৯ (২৪), লিভিংস্টোন ১৭ (১০); সাউদি ৪-০-২৪-১, মিলনে ৪-০-৩১-১, সোধি ৪-০-৩২-১, নিশাম ২-০-১৮-১।

নিউজিল্যান্ড – ১৬৭/৫ (১৯ ওভার); মিশেল ৭২* (৪৭) , কনওয়ে ৪৬ (৩৮), নিশাম ২৭ (১১); লিভিংস্টোন ৪-০-২২-২, ওকস

ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: ড্যারেল মিশেল (নিউজিল্যান্ড)।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...