তাঁর প্রতিভা নিয়ে আলোচনা একদম ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেবার আগে থেকেই ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে নিয়ে মাতামাতির শুরু। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পরবর্তী বড় তারকা তাকে মনে করা হতো।মেসি-রোনালদো পরবর্তী যুগে ভিনিসিয়াসই বিশ্ব ফুটবল শাসন করবেন এমনটাই বিশ্বাস করতেন অনেকে।
কিন্তু রিয়ালে যোগ দেবার পর শুরু অধ্যায়টা মোটেও ভালো ছিল না ভিনির জন্য। তবে ধীরে ধীরে পারফরম্যান্স দিয়ে হয়ে উঠেছেন রিয়ালের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কয়দিন আগেই রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছিলেন, বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ভিনিসিয়াস। এবার সেই আনচেলত্তিই ভিনিসিয়াসকে বিশ্বসেরা বলে রায় দিলেন।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলকে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে রিয়াল। দ্বিতীয় লেগে গোলের দেখা না পেলেও কোচের মন এতটাই জয় করেছেন ভিনি যে ম্যাচে পর আনচেলত্তি জানালেন তাঁর চোখে বিশ্বসেরা এখন ভিনিসিয়াস। গোলের দেখা না পেলেও গতি আর ড্রিবলিংয়ে লিভারপুল রক্ষনকে সারাটাসময় ব্যস্ত রাখেন ফরোয়ার্ড। করিম বেনজেমার গোলে করেছেন অসাধারণ একটি এসিস্টও।
ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে লিভারপুলের মাঠে ৫-২ ব্যবধানে জিতে এসে শেষ আটে এক পা দিয়েই রেখেছিল রিয়াল। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন ভিনিসিয়াস।চলতি মৌসুমে সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪০ ম্যাচে মাঠে নেমে ১৯ গোল করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। সাথে আছে ১০ এসিস্টও। বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রে সেমিফাইনালের আগে আনচেলত্তি বলেছিলেন, ‘বিশ্বেসেরা খেলোয়াড়দের একজন ভিনিসিয়াস।’
এবার লিভারপুলের বিপক্ষে জয়ের পর আনচেলত্তি বলেন, আমার কাছে সে বিশ্বের সেরা। সে যখনই বল নিয়ে সামনে গেছে, প্রতিপক্ষের জন্য বিপদ সৃষ্টি করেছে। আজ সে কোনো গোল করেনি কিন্তু অসাধারণ খেলেছে এবং একটি এসিস্টও করেছে।’
গত তিন মৌসুম ধরে রিয়ালের জার্সিতে যেন নিজেকেই প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যাচ্ছেন ভিনিসিয়াস। গত তিন মৌসুমের মধ্যে কিলিয়ান এমবাপ্পের পর দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ১০ টির বেশি গোল ও এসিস্ট করার রেকর্ড এখন ভিনিসিয়াসের। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গোল করে রিয়ালকে জিতিয়েছেন শিরোপা।
এছাড়াও যখনই দলের দরকার হয়েছে তখনই নিজের সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন দলের জন্য। এমন খেলোয়াড় যেকোনো কোচের জন্যই বড় সম্পদ। আনচেলত্তি তাই শিষ্যের প্রতিভা আর প্রচেষ্টার মুগ্ধ হবেন সেটিই স্বাভাবিক।